ভালো থাকতে চাইলে টাকা জমান
ODD বাংলা ডেস্ক: জীবনটা সমস্যার বেড়াজালে তৈরি। জীবনে চলতে গেলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই সমস্যা বাদ দিয়ে জীবন অসম্ভব। তবে জীবনের কঠিন সময়েও আপনাকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করতে পারে ‘টাকা’। মানে আপনার কাছে টাকা থাকতে হবে। আপনি যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হন, তবে অনেক সমস্যার সমাধান হবে সহজে।
কিন্তু কীভাবে টাকা জমাবেন? আজ এ বিষয়ে একটু আলোচনা হোক।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করুন
হাতে টাকা থাকলেই খরচ হয়ে যাবে। তাই একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করুন। শুরুটা হতে পারে সঞ্চয় হিসাব (সেভিংস অ্যাকাউন্ট) অথবা স্থায়ী আমানত (ফিক্সড ডিপোজিট)। সঞ্চয় হিসাবে টাকা জমবে। এফডি করলে আপনি নিশ্চয়ই মাসে মাসে তা থেকে লভ্যাংশ পাবেন।
বিনিয়োগ করুন
কিছু টাকা জমা হলে তা বিনিয়োগের চিন্তা করুন। টাকা অলসভাবে ফেলে রাখার কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়। তবে কোথায় বিনিয়োগ করছেন তা জেনে-বুঝে করুন।
স্বর্ণ কিনতে পারেন
আপনি চাইলে স্বর্ণ কিনতে পারেন। এক সময় টাকার বিকল্প স্বর্ণ ভাবা হতো। এখনও হয়। স্বর্ণ কিনে খুব কম মানুষই ঠকে।
রিয়েল এস্টেট
যে বাসায় আপনি থাকেন, যদি ভাড়া থাকেন, তবে তাতে কোনো লাভ নেই আপনার। অনেক রিয়েল এস্টেট কোম্পানি আছে, যারা কিস্তিতে প্লট বা ফ্লাট দেয়। সেক্ষেত্রে দেখা যায়, বাসা ভাড়ার টাকার সঙ্গে আর কিছু যোগ করলে কেনার বিপরীতের কিস্তি পরিশোধের টাকা হয়ে যায়। তাই জমি বা ফ্লাট কেনার কথা চিন্তা করুন। আপনাকে অবশ্যই টাকার ব্যাপারে বিনিয়োগ কথাটা মাথায় রাখতে হবে।
আর্থিক নিরাপত্তা
নিজের আর্থিক নিরাপত্তার কথা ভুলবেন না। আপনার খারাপ সময়টাতে এটি আপনার পাশে দাঁড়াবে। বন্ধু, সহকর্মী, আত্মীয়রা প্রতারণা করলেও টাকা আপনার পাশে থাকবে। প্রতারণা করবে না। তাই অন্তত ছয় মাসের খরচ জমা রাখুন। যাতে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়। এই ছয় মাসের মধ্যে আপনি নিশ্চয়ই উপার্জনের উপায় খুঁজে পাবেন।
ইনস্যুরেন্স করুন
বীমা হলো একটি চুক্তি। ইহা দুই পক্ষের মধ্যে একটি আইন সম্মত চুক্তি। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ক্ষতিপূরণ দিবে বলে নিশ্চয়তা দিয়ে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। অন্যপক্ষ ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট হারে প্রিমিয়াম প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়ে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। তাই আর্থিক নিরাপত্তায় আপনি ইনস্যুরেন্স করতে পারেন।
আয় ও খরচ সম্পর্কে সচেতন হোন
ভুলে গেলে চলবে না যে আপনার মাসিক আয় কত আর কতই বা খরচ করেন। এ দুইয়ের মধ্যে একটা সমন্বয় তৈরি করুন। যাতে ব্যয় করার পরে কিছুটা হলেও উদ্বৃত্ত থাকে।
এমন অনেক পরামর্শই হয়ত দেওয়া যাবে। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই আপনার জীবন সম্পর্কে অবগত। তাই নিজেই ভাবুন,আপনি আত্মনির্ভরশীল হতে চান কি না। যদি চান, তবে নিজের মতো করে আরও উপায় খুঁজে বের করুন। স্বাবলম্বী হোন আর নির্ভরতা কমান। অন্যের ওপর ভরসা করবেন না, সে যতোই আপনার কাছের হোক। দিনশেষে আপনার যোগ্যতাই আপনাকে বড় করে দেবে।
Post a Comment