৯০ বছর বয়সে ফিটনেস ইনস্ট্রাক্টর, নেপথ্যে নানা রহস্য
ODD বাংলা ডেস্ক: বয়স একটা সংখ্যা মাত্র, আর সেই সংখ্যাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে এক অন্য জীবনযাপন করেন। এমন অনেকেই আছেন যারা বিশ্বাস করেন শরীরের বয়স বাড়লেও মনের বয়স বাড়ে না। আর মনের জোরেই তারা অসাধ্য সাধন করে দেখিয়ে দেন। পৃথিবীর বহু বয়স্ক মানুষকেই দেখা যায় কেউ পাহাড়ে চড়ছেন, কেউ বা পেরোচ্ছেন ইংলিশ চ্যানেল, আবার কেউ বেরিয়ে পড়ছেন নানান অ্যাডভেঞ্চারে। তেমনই একজন হলো তাকিশিমা মিকা। তিনি জাপানের বাসিন্দা।
তার কাছে বয়স শুধুই একটি সংখ্যা। তাই তো তিনি ৯০ বছর বয়সেও একটি জিমের ফিটনেস ইনস্ট্রাক্টর। এই বয়সেও নিয়মিত শারীরিক কসরত করছেন তাকিশিমা মিকা নামে ওই নারী। তার শারীরিক গড়নও ঠিক রেখেছেন। জাপানের সবচেয়ে বয়স্ক ফিটনেস ইনস্ট্রাক্টর তিনি। ৯০ বছর বয়সী এই নারী সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছেন।
তবে শুরু থেকেই তাকিশিয়া মিকা ফিটনেসের প্রতি যত্নশীল ছিল না। তার বয়স যখন ৬০ বছর তখন তিনি ফিটনেস সচেতন হয়ে ওঠেন। অবশ্য এর পেছনে কারণও রয়েছে। পুরাদস্তুর গৃহিণী তাকিশিমা মিকার বয়স যখন ৬৫, তখন তার ওজন বাড়তে শুরু করে। এ নিয়ে তার স্বামী নানা কথা শোনান। এরপর তিনি জিমে যাওয়া শুরু করেন। সেই থেকেই শুরু হয় তার যাত্রা।
তাকিশিমা মিকা জানান, ‘ওই সময় একটু মোটাই ছিলাম। আমার টাউজারের সাইজ এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ ছিল। যদিও আমার ওজন বেশি ছিল তা বলব না। একদিন আমার ওজন নিয়ে স্বামীর একটি বক্তব্য শুনে জিমে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিই।’শুরুতে পাঁচ বছরে ১৫ কিলোগ্রাম ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেন তাকিশিমা। পরবর্তী সময়ে ফিটনেসের প্রতি তার ভালোবাসা তৈরি হয়। পরে একটার পর একটা চ্যালেঞ্জ নিতে শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘শুরুতে ওজন কমানোর জন্যই ফিটনেসে মনোযোগী হই। পরে ব্রাজিলিয়ান নারীদের মতো গড়ন তৈরির সিদ্ধান্ত নিই। এরপর চওড়া কাঁধ ও চিকন কোমর করেছি।’
তাকিশিমার বয়স যখন ৮৭, তখন ফিটনেস ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ শুরু করেন। ৯০ বছর বয়সেও তিনি রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন এবং ভোর বেলা ৩টায় ঘুম থেকে ওঠেন। ঘুম থেকে ওঠে ৪ কিলোমিটার হাঁটেন। পরে সকালের নাস্তা করেন। তার সকালের নাস্তায় থাকে সুষম খাবার। আর রাতের খাবারে থাকে বিভিন্ন রকম শাক-সবজি, মুরগির মাংসের সুপ। তিনি মৌসুমি শাক-সবজি খেতে পছন্দ করেন।
তারপর দিনের বেশিরভাগ সময় ফিটনেস নিয়ে বিভিন্ন কাজ করেন। খাবার খাওয়া নিয়েও অনেক সচেতন থাকেন তিনি। ৯০ বছরের বৃদ্ধা তাকিশিমা মিকাকে দেখে অনেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তার এখন দু’টি লক্ষ্য- একটি সবার ফিটনেস ঠিক করা। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ১০০ বছর বয়সেও ফিটনেস ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে কাজ করা।
Post a Comment