আজ রাম-সীতার বিবাহ পঞ্চমী, জানুন এই বিশেষ দিনের মাহাত্ম্য
ODD বাংলা ডেস্ক: এই বছর ৮ ডিসেম্বর দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বিবাহ পঞ্চমী। বিশেষ করে উত্তর ভারতে এই দিনটির বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বিবাহ পঞ্চমী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। রামায়ণ অনুসারে ত্রেতা যুগে এই দিনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন রাম ও সীতা।
ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, সাধারণত ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসে প্রতি বছর পড়ে বিবাহ পঞ্চমী। বাংলা মতে অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম দিনে পালিত হয় বিবাহ পঞ্চমী। ভারত ও নেপালের সব রাম সীতা মন্দিরে পালিত হয় বিবাহ পঞ্চমী। তবে এই দিনটি উপলক্ষ্যে সবথেকে ধূমধাম করে উত্সব পালিত হয় রাম জন্মভূমি অযোধ্যায়। বিহারেও বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয় বিবাহ পঞ্চমী।রাম সীতার মন্ত্র এবং অন্য বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করে রাম ও সীতার বিবাহবার্ষিকী পালন করেন ভক্তেরা। অনেকে এই দিন উপবাস রাখেন। রাম ও সীতার বিশেষ পুজো করে সন্ধেয় উপবাস ভঙ্গ করা হয়। রাম ও সীতার মূর্তির বিবাহ আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয় অনেক জায়গায়।
পুরাণ অনুসারে এই দিনেই বর্তমান নেপালের জনকপুরে রাজা জনকের কন্যা সীতা স্বয়ংম্বরে উপস্থিত হয়েছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। সীতাকে বিবাহ করার শর্ত হিসেবে এই দিনেই তিনি হরধনু ভঙ্গ করেছিলেন। হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যদি কারও বিয়ে হতে সমস্যা হয়ে বা কেউ যদি বিবাহিত জীবনে সমস্যা ও অশান্তির মুখে পড়েন তাহলে এই দিনে উপবাস রেখে পুজো করলে সব সমস্যার সমাধান হবে। বিবাহ পঞ্চমীর দিন বিশেষ তাত্পর্য থাকায় অনেকেই এই দিনেও বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। অনেকের বাড়িতে এবং মন্দিরে এদিন মাটির প্রদীপ জ্বালানো হয়। অনেকের বাড়িতে এদিন মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়। আপনজনদের এদিন উপহার দিয়ে থাকেন অনেকে।
বিবাহ পঞ্চমীতে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করার রীতি প্রচলিত আছে। এরপর রাম ও সীতার মূর্তিতে নতু বস্ত্র দিতে হয়। রামের মূর্তিতে হলুদ বস্ত্র এবং সীতার মূর্তিতে লাল বস্ত্র দেওয়ার রীতি রয়েছে।
Post a Comment