Odd বাংলা ডেস্ক: গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় প্রাথমিকভাবে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পর্ষদ এবং কমিশনের হলফনামা থেকেই স্পষ্ট যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা আছে। যেহেতু দুটিই সংস্থা রাজ্যের, তাই প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআই। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। প্রাথমিকভাবে তিন সপ্তাহের জন্য সিবিআই অনুসন্ধানের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত।
সোমবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ট্যান্ডন এবং বিচারপতি সামন্তের বেঞ্চ জানায়, নথি বলছে, দুর্নীতি হয়েছে। সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্বস্তি পেলেন সেই সমস্ত গ্রুপ ডি কর্মী, যাঁরা ইতিমধ্যেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। মাসের মাইনেও পান তাঁরা। কারণ, এর আগে আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, যাঁদের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন আছে, তাঁদের বেতন বন্ধ থাকবে আপাতত।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সিঙ্গল বেঞ্চ ২৫ জন গ্রুপ ডি কর্মীর বেতন বন্ধ করে দেয়। আরও ৫৪২ জনের বেতন বন্ধ হবে কি না তা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দেখার নির্দেশ দেয়। ওই সমস্ত কর্মীদের আইনজীবী সোমবার আদালতে বেতন চালু রাখার আর্জি জানান। সে আর্জিতেও সায় দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের যে সুপারিশ করেছিল রাজ্য সরকার, তাতে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের পর প্যানেল তৈরি করে দেয় কমিশন। অভিযোগ ওঠে, ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ উঠেছিল, বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল ২৫ জনকে। পরে আবারও ৫৪২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
Post a Comment