মন্দিরে রাত কাটালেই গর্ভবতী! এমনটাও হয় ভারতে..
ODD বাংলা ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের সিমসা মাতা মন্দিরকে কেন্দ্র করে আপাতদৃষ্টিতে একেবারে ভিত্তিহীন বিচিত্র এক বিশ্বাস গড়ে উঠেছে। বলা হয়, এই মন্দিরে একরাত কাটালেই নাকি নিঃসন্তান নারীরা গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
হিমাচল প্রদেশের মন্ডি জেলার অন্তর্গত লাড়াভাদোল তহশিলে সিমসা মাতা মন্দিরের অবস্থান। কিন্তু শুধু হিমাচল নয়, পার্শ্ববর্তী রাজ্য পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই মন্দির প্রসিদ্ধ সন্তানদাত্রী মন্দির হিসেবে। কারণ মানুষের বিশ্বাস, এই মন্দিরে শতরঞ্জি পেতে শুয়ে থাকলে দৈবী কৃপায় সন্তান লাভ করেন নিঃসন্তান নারীরা।
কীভাবে কার্যকর হয় এই দৈব কৃপা? নবরাত্রির সময়ে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে পালিত হয় বিশেষ উৎসব। ওই এলাকায় উৎসবটি পরিচিত সলিন্দরা নামে। স্থানীয় ভাষায় ‘সলিন্দরা’ শব্দের অর্থ স্বপ্ন পাওয়া। এই উৎসবের সময়েই নিঃসন্তান দম্পতিরা আসেন এই মন্দিরে। পুরুষ নয়, শুধুমাত্র সন্তানাকাঙ্ক্ষী নারীরা এই মন্দির চত্বরে শতরঞ্জি পেতে শুয়ে থাকেন দিনরাত। বলা হয়, দু’-এক রাত শুয়ে থাকার পরেই নারীদের স্বপ্নের মাধ্যমে আশীর্বাদ করেন দেবী সিমসা মাতা। তার কৃপাতেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরে স্বপ্নপ্রাপ্ত নারীদের গর্ভসঞ্চার হয়।
অবশ্য এই মন্দিরে শুলেই যে দেবীর আশীর্বাদসূচক স্বপ্নদর্শন সম্ভব হবে, তা নয়। এমনকী স্বপ্ন দেখলেই যে সন্তানলাভ হবে, এমনটাও নয়। বলা হয়, দেবী যে স্বপ্ন দেন, তা হয় প্রতীকী ইঙ্গিতবাহী। সেই প্রতীকের অর্থোদ্ধার করতে পারলেই জানা সম্ভব, কোন নারী সন্তান লাভ করবেন কি না। এমনকি আসন্ন সন্তানটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে- তাও নাকি জেনে ফেলা সম্ভব।
কী রকম? বলা হয়, কোন নারী যদি স্বপ্নে আম দেখেন, তা হলে তার পুত্রসন্তান হবে। আবার কোন নারী যদি স্বপ্নে দেখেন ঢ্যাঁড়শ, তা হলে তিনি কন্যাসন্তানের জননী হবেন। আর যদি স্বপ্নে কোন পাথর, ধাতু বা কাঠের টুকরো কিংবা এই সমস্ত উপাদানে তৈরি কোন জিনিসের দর্শন মেলে, তা হলে সেই নারীকে সারা জীবন নিঃসন্তান থাকতে হবে।
Post a Comment