৬৪ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগে মিললো ‘অজস্র স্মৃতি’

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  মানিব্যাগে তো টাকাপয়সা রাখা হয়ই। আবার অনেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রও রাখেন মানিব্যাগে। তবে এক্ষেত্রে মানিব্যাগ হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি হয়। তাছাড়া আজকাল একজন ব্যক্তির মানিব্যাগে একাধিক ডেবিট  ও ক্রেডিট কার্ড রাখে। এ অবস্থায় যদি মানিব্যাগ হারায়, তাহলে ঝামেলার শেষ থাকে না। হারিয়ে যাওয়া কার্ড বন্ধ করা এবং নতুন করে কার্ড তোলার যন্ত্রণা হাড়ে হাড়ে টের পান ভুক্তভোগীরা। 

তবে ভালো মানুষের হাতে পড়লে আবার ফেরতও পাওয়া যায়। তা হয় তো দুই, চার দিন কিংবা এক মাস, দুই মাসের মধ্যে ফেরত পাওয়া যায়। তবে কখনো কি শুনেছেন হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ ৪৬ বছর পর ফিরে পেতে? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, তেমনটাই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভেনচুরায়। সেখানকার ৬৬ বছর বয়সী একজন নারী তার হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ ৪৬ বছর পর ফিরে পেয়েছে। নাম তার কলিন ডিস্টিন।  


গত শুক্রবার মানিব্যাগটি ফিরে পান তিনি। এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ডিস্টিন। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ঐতিহাসিক ম্যাজেস্টিক ভেনচুরা থিয়েটারে ১৯৭৫ সালে এটি হারিয়েছিলেন মানিব্যাগটি। খবর এবিসি নিউজের। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনচুরা থিয়েটার নতুন করে ডিজাইন করার সময় টম স্টিভেন নামে এক কর্মী মানিব্যাগটি খুঁজে পান। তিনি বলেন, মানিব্যাগটি ছিল পুরনো ক্যান্ডি বারের র‌্যাপার, টিকেট স্টাব ও সোডার ক্যানের মধ্যে।


স্টিভেন মানিব্যাগটি পাওয়ার পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। যাতে করে এই মানিব্যাগের আসল মালিক এটি খুঁজে বের করতে পারেন। একপর্যায়ে মানিব্যাগটি খুঁজে পান কলিন ডিস্টিন। এতে ছিল পুরনো কিছু ছবি, একটি কনসার্টের টিকেট ও কলিন ডিস্টিনের একটি ড্রাইভার লাইসেন্স। তবে এতে কোনো টাকা ছিল না। মানিব্যাগ খুঁজে পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ডিস্টিন।


 তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে এটি হারায়। তখন তার বয়স মাত্র ২০ বছর। সেসময় এটি একটি সিনেমা হল ছিল। তিনি সেখানে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। আর তখন তার ব্যাগ থেকে পরে গিয়েছিল। তবে হারিয়ে যাওয়ার সময় তার ব্যাগে ২০০ ডলারের একটি চেক ছিল। সে সময় তিনি যোগাযোগ করে তার মানিব্যাগ হারানোর বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তবে তখন কেউ এটি খুঁজে পায়নি। 


ডিস্টিন বলেন, ওই ব্যাগে আমার মায়ের ছবি ছিল। তিনি কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন।  তাছাড়া আমার হাই স্কুলের বন্ধুদের ছবি আছে, কবিতা ও কিছু নোটসও ছিল। এই অনুভূতি আসলেই অসাধারণ। তিনি আরো বলেন, আমি খুব খুশি হয়েছি এই মানিব্যাগটি পেয়ে। কারণ এর মধ্যে আমার অনেক স্মৃতি আছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.