নতুন এক ম্যানগ্রোভ বনের অধিকারী দুবাই
ODD বাংলা ডেস্ক: পৃথিবীতে মাত্র ১০ টি ম্যানগ্রোভ বনের আয়তন ৫ হাজারের থেকে একটু বেশি। পৃথিবীর সমগ্র ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের ৪৩ ভাগ ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল অস্ট্রেলিয়া এবং নাইজারে অবস্থিত এবং ভারত ও বাংলাদেশে অবস্থিত সুন্দরবন বিশ্বে একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন যা ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিত । এটি প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য হিসেবেও মনোনীত হয়।
সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যতম প্রধান শহর দুবাই এবার আনুষ্ঠানিকভাবে অত্যাশ্চর্য নতুন এক ম্যানগ্রোভ বনের অধিকারী হলো। ম্যানগ্রোভ বা লবণাম্বুজ হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের উদ্ভিদ যা সাধারণত সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলের নোনা বা লবণাক্ত জল বা জলে জন্মায়। বাংলা শব্দ লবণাম্বুজ বিশ্লেষণ করলে দুটি শব্দ পাওয়া যায় লবণ এবং অম্বুজ বা জলে জন্ম অর্থাৎ লবণাক্ত জলামাটিতে জন্মানো উদ্ভিদ।
দুবাইয়ে প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকতের তীরে গড়ে তোলা এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সামুদ্রিক ঘাসে আচ্ছাদিত মাটিতে ম্যানগ্রোভ গাছে ঘেরা। পরবর্তী দশকের মধ্যে দুবাইয়ে ৬০ শতাংশ বনভুমি গড়ে তোলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে এই ম্যানগ্রোভ বন। দুবাই শহরের প্রাণকেন্দ্রে গেলেই চোখ পড়ছে বনটি।
শহরটির জেবেল আলী বন্যজীবন অভয়ারণ্যে অবস্থিত এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্টে প্রবাল প্রাচীর, ম্যানগ্রোভ গাছ এবং সমুদ্রের ঘাস আচ্ছাদিত ভূমিসহ একটি প্রাকৃতিক সৈকত থাকবে। আমিরাতের পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা সমুদ্রতীরে মনোনীত এই বিশেষ জমিকে (সুরক্ষিত অঞ্চল) একটি পূর্ণ বনে পরিণত করার কাজ চালিয়ে যাবেন। সেখানে পরিবেশবীদরা নতুন নতুন ম্যানগ্রোভ গাছ লাগাবেন। ৪ থেকে ৫ বছরের ম্যানগ্রোভ গাছও সেখানে রোপণ করবেন তারা। এই ম্যানগ্রোভ ফরেস্টকে সমুদ্রের নোনা জল পরিশোধনের প্রকৃতিক শোধনাগার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
Post a Comment