পোলট্রি চাষের মাধ্যমে হয়ে যান স্বাবলম্বী



Odd বাংলা ডেস্ক: করোনার জেরে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। আবার অনেকের ব্যবসাও মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বেশ কিছু সেক্টরের তো পুরোপুরি ভরাডুবি হয়েছে। তবে এখনও এমন কয়েকটি ব্যবসা রয়েছে, যেগুলিতে লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনীতির চাকা আবার চলতে শুরু করলেই এই ব্যবসাগুলি (Business Idea) আবার ফুলে ফেঁপে উঠবে। এমন একটি ব্যবসার রয়েছে যা অল্প টাকার মধ্যেই করা যেতে পারে।

পোলট্রি ফার্মিং (Poultry Farming)

মুরগি ও ডিমের চাহিদা এখন আকাশ ছোঁয়া, সে কারণেই এই ব্য়বসা এখন বড় সুযোগ। ছোট বা বড় আকারে হাঁস-মুরগির খামার করা যায়। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারও পোলট্রি ফার্মের (Poultry Farm) ব্যবসায় উৎসাহ দিতে লোন ও প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সাহায্য করে।

মুরগির চাহিদা থাকে সবসময়


বাজারে মুরগির চাহিদা থাকে সবসময়। তাই এই ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনাও অনেক কম। পোলট্রি ফার্মিং-কে কৃষি খাতে দ্রুত বৃদ্ধি হওয়া একটি ভাগ বলে মনে করা হয়।


ছোট জায়গা থেকে ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে

গ্রাম্য এলাকায় বাড়ির পেছনে ছোট আকারে পোলট্রি ফার্মিং (Poultry Farming) করা যায়। পাশাপাশি, সরকারও বাড়ির উঠোনে পোলট্রি চাষে সহায়তা করে। এতে খুব বেশি জলের প্রয়োজন হয় না, তবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া দরকার।

কত খরচ হবে?

পোলট্রি ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সহজেই লোন পাওয়া যেতে পারে। ছোট আকারে পোল্ট্রি ফার্মিং শুরু করতে হলে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে। তবে বড় আকারে ব্যবসা শুরু করতে হলে দেড় লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার প্রয়োজন পড়তে পারে।

কী ভাবে লোন পাওয়া যাবে?

পোলট্রি ফার্মিং-এর লোনের জন্য যে কোনও সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে লোন পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে SBI মোট খরচের 75% পর্যন্ত লোন দেয়। এই ব্যাঙ্কে, ৫ হাজার মুরগির পোলট্রি ফার্মের জন্য তিন লাখ টাকা লোন (Loan) দেওয়া হয়। এই লোন পাঁচ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.