পুরুষের থেকে একেবার আলাদা পর্নোগ্রাফি পছন্দ মেয়েদের!

ODD বাংলা ডেস্ক: পর্নোগ্রাফিতে কী দেখতে পছন্দ করে পুরুষরা? অবশ্যই নগ্ন নারীদেহ! এটাই তাদের একমাত্র ভাললাগার জায়গা। কিন্তু, মেয়েদের স্বাদ একটু ভিন্ন। নগ্ন পুংদেহ তো বটেই, নগ্ন নারীদেহ দেখেও তারা চরম উত্তেজিত হয়। কানাডায় একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে এমনই চমকপ্রদ তথ্য।

টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডিকশন অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ একটি সমীক্ষায় জানাচ্ছে, পর্নোগ্রাফি দেখার ক্ষেত্রে পুরুষ ও নারীর পছন্দ কিছুটা আলাদা। পুরুষরা হেটেরোসেক্সুয়াল অর্থাৎ নারীদের দেখতে পছন্দ করে। নগ্ন নারীদেহের যে তিনটি জায়গা পুরুষদের সবচেয়ে বেশি টানে, তা হল স্তন, যোনি এবং নিতম্বদেশ। কোনও পর্নোগ্রাফিতে শুধু মেয়েরা থাকলে সেটা আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে পুরুষদের কাছে। কারণ সেক্ষেত্রে একসঙ্গে অনেকগুলি মেয়েকে নগ্ন অবস্থায় দেখা যায়। তুলনায় পুরুষ-নারী সেক্স সংক্রান্ত পর্নোগ্রাফি দেখা ছেলেদের কাছে কম আগ্রহের বিষয়।

অন্যদিকে, মেয়েরা হেটেরোসেক্সুয়াল শুধু নয়, হোমোসেক্সুয়াল পর্নোগ্রাফি দেখতেও পছন্দ করে। অর্থাৎ মেয়েরা নগ্ন পুংদেহ তো বটেই, নগ্ন নারীদেহ দেখেও সমান উত্তেজিত হয়।

তারা পুরুষ-নারীর সেক্স সংক্রান্ত পর্নোগ্রাফি দেখতে ছেলেদের চেয়েও বেশি আগ্রহী। মেয়েরা পুরুষদের শক্ত উত্থিত পেনিস দেখে শিহরিত হয়।

পর্নোগ্রাফি দেখার চরিত্রে আরও একটি পার্থক্য লক্ষণীয়। পুরুষরা সাধারণত একা পর্নোগ্রাফি দেখতে পছন্দ করে। এর কারণ, বেশিরভাগ পুরুষই পর্নোগ্রাফি দেখতে দেখতে হস্তমৈথুন করে। কিন্তু কয়েকজন মেয়ে একসঙ্গে দল বেঁধে পর্নোগ্রাফি দেখতে পছন্দ করে। মেয়েরা পরস্পরের সঙ্গে যৌনগন্ধী আলোচনা করতে ভালবাসে। তারা পর্নোগ্রাফিতে দেখা নায়িকার স্তনের সঙ্গে নিজেদের স্তনের আকারের তুলনামূলক আলোচনা করে মজা পায়।

সন্তানসম্ভবা মহিলারা কেন অদ্ভুতুড়ে স্বপ্ন দেখেন, জানাচ্ছে সমীক্ষা

সব সন্তানসম্ভবা মা-ই এমন কিছু স্বপ্ন দেখেন যা আর পাঁচ জনের থেকে আলাদা। কখনও তা ভৌতিক, কখনও তা উদ্ভট। কিন্তু কেন?

কয়েক দিন আগেই আমেরিকান গায়িকা কার্ডি বি একটি ট্যুইট করেন। তাঁর মূল বক্তব্য ছিল দুটো— এক, তিনি প্রথম সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। দুই, তিনি প্রতিদিন অদ্ভুতুড়ে স্বপ্ন দেখে চলেছেন।

শুধু কার্ডি বি নয়। আদপে সব সন্তানসম্ভবা মা-ই এমন কিছু স্বপ্ন দেখেন যা আর পাঁচ জনের থেকে আলাদা। কখনও তা ভৌতিক, কখনও তা উদ্ভট। কিন্তু কেন?

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এর উত্তর। গবেষকরা বলছেন, আসলে ঘুমের প্রায় পাঁচটা ধাপ আছে। প্রথম ধাপটি হল ‘র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট’ (রেম)। এই পর্যায়ে ঘুম থাকে ২৫ শতাংশের মত। একজন সুস্থ মানুষের এই র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট চলে ৭০ থেকে ৯০ মিনিটের মতো।

ঘুমের সাইকেল চলাকালীন এই রেম পর্যায়টি বারবার ফিরে আসে। তখন মানুষ তার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা, অভিপ্রায় ও অবচেতনের মিশেলে নানা স্বপ্ন তৈরি করেন। সবটা তার মনেও থাকে না।

কিন্তু প্রেগনেন্ট মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার জন্য তাদের ঘুম কম হয়। বারবার রেম সাইকেল ভেঙে যায়। এর ফলেই তাদের স্বপ্নের স্মৃতি অনেক সক্রিয় এবং জোরালো।

এর আগেও স্লিপ মেডিসিন নামক একটি জার্নালে উঠে এসেছিল আসন্ন প্রসবা মায়েদের দুঃস্বপ্নের কথা।

এবার উঠে এল এর আসল কারণ। শুধু প্রজেস্টরনের সমস্যা নয়। মহিলারা এই সময় রেস্টলেস লেগ সিন্ড্রোমে ভোগেন। ঘুমের মধ্যে বারবার তাদের পা নাড়াতে ইচ্ছে করে। এর জন্যেও ঘুমে ব্যাগাত ঘটে। বিচ্ছিন্ন হয় রেম বা র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট সার্কেল। এর ফলেই এই স্বপ্ন বিকৃতি।

শিকাগো নিবাসী গবেষক চিকিৎসক জুলি লিভিট ঠাট্টা করেই বলছেন, সন্তান আসার আগে মায়ের থেকে যে অধিকারটি কেড়ে নেয় তা হল ঘুমের অধিকার। আর যা ফিরিয়ে দেয়, তা হল নানারকম ভয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.