আপনি যদি অল্প খরচে নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনি কাতলা মাছ চাষ শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসার জন্য, শুধু সরকারি অনুদান নয়, আপনি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্য়ে প্রশিক্ষণও নিতে পারেন। এই মাছটি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক ভাষা অনুসারে বিভিন্ন নামে পরিচিত হলেও এর জনপ্রিয় নাম কাতলা হিসাবেই সকলে চেনে। আসুন এই মাছটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
কাতলা মাছ বাংলাদেশে বিশেষভাবে বিখ্যাত, তবে ভারতেও এটি প্রচুর খাওয়া হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে এর চাহিদা সবথেকে বেশি থাকে। উপকূলীয় বাংলা ও উড়িষ্যার অঞ্চলে এটি মানুষের খাদ্যের প্রধান অংশ।
বছরে একবার ডিম দেয়
কাতলা মাছের শরীর চওড়া, মাথার আকার লম্বাটে ধরনের হয়।গায়ের রং রূপোর মতো চকচকে হয়। এর নিচের ঠোঁট চ্যাপ্টা ও পুরু। এর ডানা, গাঢ় কালো রঙের হয়।
খাদ্য
খাবারের জন্য,এটি সাধারণত জলের উপরের দিকে আসে এবং সেখানে জমাট বাঁধা ঘাস এবং গাছপালা খায়। কম জলেও এটি সহজেই বেঁচে থাকতে পারে।
কৃত্রিমভাবে কাতলা মাছ প্রজনন অত্যন্ত কঠিন, কারণ ডিম ছাড়ার জন্য সুনির্দিষ্ট পরিবেশগত অবস্থার প্রয়োজন হয়। এটি খুব উপযুক্ত এবং সাধারণত অন্যান্য কার্প মাছ প্রজাতির সাথে প্রজনন করা যায়, বিশেষ করে রুই এবং মৃগাল মাছের সাথে।
তাপমাত্রা
অধিক ঠান্ডা কাতলা মাছের বসবাসের জন্য় অত্য়ন্ত কঠিন হয়ে পরে ।তাই এদের জলে ২৫ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। তবে গরমের দিনে সাধারণত তাদের কোনো ধরনের সমস্যা হয় না।
সরকারী সাহায্য
যুবকদের কাজের সাথে সংযুক্ত করার জন্য, সরকার প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা প্রকল্পের রুপায়ন করেছে। যার অধীনে আপনি কাতলা মাছ চাষের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা পেতে পারেন।
কাতলা মাছ প্রধানত খাওয়ার জন্য প্রজনন করা হয়। কিছু অন্যান্য কার্প মাছ প্রজাতির তুলনায় কাতলা মাছ অপেক্ষাকৃত দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কাতলা মাছের মোট উৎপাদন ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবহনের সময়, এটি সাধারণত বরফের দ্বারা পরিবহন করা হয়। কাতলা মাছ খেতে খুব সুস্বাদু হয়।
Post a Comment