বর্তমানে বাজারে ডিম ও মাংসের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। ফলে ফলে পশুপালনে আয়ের সুযোগও অনেক বেড়েছে। সাধারণত মানুষ মুরগি ও হাঁস পালনের ব্যবসা করতে বেশি পছন্দ করে। প্রসঙ্গত , এক বছরে দেশি মুরগি গড়ে ১৫০ থেকে ২০০ টি ডিম পাড়ে
কিন্তু আজকে আমরা যে পশুপালনের কথা বলতে বলব তা গড়ে ২৮০ থেকে ৩০০ টি ডিম পাড়ে। আজ আমরা জাপানি কোয়েল সম্পর্কে কথা বলব।এই বিষয়ে, উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে অবস্থিত মহাযোগী গোরক্ষনাথ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র অনুসারে
মুরগির খামারের তুলনায় জাপানি কোয়েল চাষে আয় অনেক বেশি হয় এবং এই ব্যবসায় পুঁজিও অনেক কম লাগে।এর জন্য জায়গাও অনেক কম লাগে। আগে মাংসের জন্য বাড়িতে কোয়েল পালন করা হলেও এখন এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তাই এটিকে ব্যবসা হিসেবে বেশি গ্রহণ করা হচ্ছে। কোয়েলের কম তত্ত্বাবধানে ভালো উৎপাদন পাওয়া যায়।
কোয়েলের জাত
জাপানি কোয়েলকে সাধারণত কোয়েল বলা হয়। এটি পালকের ভিত্তিতে বিভিন্ন জাতের মধ্যে বিভক্ত। এর মধ্যে রয়েছে ফারাও, ইংরেজ সাদা, টাক্সেডো, ব্রিটিশ রাগ এবং মাচুরিয়ান গোল্ডেন ইত্যাদি।দেশে জাপানি কোয়েল চাষ করা মুরগি, হাঁস পালনের ক্ষেত্রে খামারিদের জন্য একটি নতুন বিকল্প হয়ে উঠছে।
কোয়েল পালনের জন্য প্রথমে কেন্দ্রীয় পাখি গবেষণা ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিল। যেখানে এ নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে।কোয়েল প্রধানত খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আমরা আপনাকে বলি যে অন্যান্য বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলিও কোয়েলের মধ্যে পাওয়া যায় ।
কোয়েল ৪৫ দিন বয়স থেকে ডিম দেওয়া শুরু করে
প্রতি বছর জাপানি কোয়েল ৩ থেকে ৪ প্রজন্মের জন্ম দিতে সক্ষম।
স্ত্রী কোয়েল ৪৫ দিন বয়স থেকে ডিম দেওয়া শুরু করে।
এটি ৬০ তম দিনের মধ্যে পূর্ণ উৎপাদন অবস্থায় পৌঁছে যায়।
অনুকূল পরিবেশ পেলে অধিক ডিম পাড়তে পারে।
একটি স্ত্রী কোয়েল বছরে গড়ে ২৮০ টি ডিম দিতে পারে।
১টি মুরগির জায়গায় ৮-১০টি কোয়েল পালন
একটি মুরগির জন্য নির্ধারিত জায়গায় ৮ থেকে ১০ টি কোয়েল রাখা যেতে পারে। এগুলি আকারে ছোট, তাই সহজেই ছোট জায়গায় পালন করা যায়। কোয়েল পালনে খাদ্য়েও অনেক কম লাগে। কোয়েলের শরীরের ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পায়, তাই তারা ৫ সপ্তাহের মধ্যে বাজারজাত করার উপযুক্ত হয়ে ওঠে।
ডিম এবং মাংস থেকে পুষ্টি
কোয়েলের ডিম ও মাংসে অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন, চর্বি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কোয়েলে সংক্রামক রোগ যেমন কম হয়, তেমনি রোগ প্রতিরোধের জন্য মুরগির মতো কোনো ধরনের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন পরে না।
Post a Comment