চৌকো তরমুজ চাষের রহস্য

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে তরমুজের জনপ্রিয়তা একটু বেশিই! লাল রঙা রসালো এই ফলটি ছোট বড় সবারই পছন্দের। তরমুজ নামটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে গোলাকার সবুজ রঙা একটি ফলের অবয়ব। তবে জানেন কি? চারকোনা তরমুজও চাষ করা হয়! 

বাজার থেকে কিনে আনা তরমুজটি না কেটে যাতে সহজেই ফ্রিজে রেখে দেয়া যায়, সে ব্যবস্থা করতেই জাপানের ওকুমুরা নামের এক তরমুজ চাষী ২০ বছর ধরে চার কোনা আকারের তরমুজ উৎপাদন করছেন। গাছে ফল আসার পরপরই ছোট অবস্থাতেই একধরনের চার কোনা কাঁচের তৈরি বাক্সের মধ্যে ঠুকিয়ে দেয় ফলগুলোকে এবং বড় হবার পর ফলগুলো চারকোনা হয়ে যায়। এর প্রধান সুবিধা বা উদ্দেশ্য হলো গুদামজাত ও পরিবহণে জায়গার অপচয় কম হয়।


তবে তরমুজকে চার কোনা করার জন্য প্রত্যেকটি ফলকে আলাদা আলাদা বাক্সে রাখতে হয় এবং আলাদা যত্ন নিতে হয়,যাতে ফল নষ্ট না হয়ে যায়। কেবল টেলিভিশন বাক্সের মতোই নেই, চাইলে পিরামিড বা মানুষের মুখের আকৃতির তরমুজও আপনি কিনতে পারবেন জাপানের যেকোনো তরমুজ শপ থেকে। ২০ বছর ধরে ওকুমুরা এ ধরনের তরমুজ উৎপাদন করে আসছেন। কারণ হিসেবে প্রথমে আসে রিফ্রেজারেটরের কথা। ফ্রিজে যাতে সহজেই আস্ত তরমুজটিকে রেখে দেয়া যায়, মূলত সে ব্যবস্থা করতেই এ পদ্ধতি।


তরমুজ একটু বড় হওয়া শুরু করলেই সেগুলো কাচের চৌকা বাক্সের মধ্যে রেখে দেয়া হয়। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটি কাচের ওই চৌকা বাক্সের মতোই আকৃতির হয়ে ওঠে। বাজারের অন্যান্য তরমুজের চেয়ে এটি আকৃতিতে একটু আলাদা হওয়ায় দামটাও কিন্তু বেশি গুণতে হয়। একটি চারকোণাকার তরমুজ কিনতে হলে লাগে ১২ হাজার ইয়েন। টাকার হিসাবে সেটা কম করে হলেও ৭ হাজার ৮০০ টাকা। আর পিরামিড আকৃতির তরমুজ কিনতে হলে প্রতি তরমুজে দিতে হবে প্রায় ৮০ হাজার ইয়েন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.