যে শহরকে ‘পরকীয়ার রাজধানী’ বলা হয়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বর্তমান বিশ্বে প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে পরকীয়া সম্পর্ক। মোবাইল ফোন, ফেসবুকসহ নানা প্রযুক্তি মানুষের হাতের মুঠোয়, তাই আজকাল পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলা অনেক সহজ। সম্প্রতি ‘পরকীয়ার রাজধানী’ হিসেবে খ্যাতিও পেয়েছে একটি শহর! সদ্য প্রকাশিত গ্লিডেন-এর এক প্রতিবেদনে বেঙ্গালুরুকে ভারতের বিশ্বাসঘাতকতার রাজধানী বলা হয়েছে৷

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে বেঙ্গালুরুর ১ লক্ষ ৩৫ হাজার মানুষ সক্রিয় ভাবে পরকীয়া করছেন৷ তাদের সাইটে এই মুহূর্তে যতজন সক্রিয় ইউজার রয়েছেন তার মধ্যে ৪৩ হাজার মহিলা ও ৯১ হাজার ৮০০ জন পুরুষ বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা৷ ভারতের যেকোনো শহরের থেকে বেশি৷


এক্সট্রা ম্যারিটাল ডেটিং সাইট গ্লিডেন-এর সমীক্ষা মতে, বেঙ্গালুরুর মনোরম আবহাওয়া প্রেমের জন্যও বেশ উপযোগী৷ তাই পরকীয়ার ব্যাপারেও বেশ এগিয়েই রয়েছে এই শহর। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেঙ্গালুরু দেশের আইটি হাব হওয়ার কারণে বিভিন্ন শহর থেকে বহু মানুষ এখানে কাজ করতে আসেন৷ অনেকেই পরিবারের থেকে দীর্ঘ সময় দূরে থাকেন৷ ফলে কারো সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা, কারো সঙ্গ পাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে৷ যার মধ্যে সব ক্ষেত্রে শারীরিক সম্পর্ক নাও থাকতে পারে৷


গ্লিডেন-এর মার্কেটিং প্রধান সোলেন পাইলেট জানান, এই সাইট ব্যবহারকারীদের ২৭ শতাংশই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা৷ অনেকেই এই সাইটে এসে লেখেন, সাইন ইন করার পর থেকে কীভাবে তার জীবন বদলে গিয়েছে৷ যেমন ৩১ বছরের এক মহিলা লিখেছেন, পরকীয়ায় জড়ানোর পর আমার পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয়েছে৷ আমার পরিবার ছেড়ে বেরিয়ে আসার কোনো ইচ্ছে নেই৷


যারা পরকীয়া করেন তারা দু’টি সম্পর্ক একসঙ্গে কীভাবে সামলে চলেন এরা? এমন প্রশ্নের জবাবে মনিপাল হাসপাতালের সাইকিয়াট্রিস্ট ভূপেন্দ্র চৌধুরি বলেন, কিছু সময় পর দুটো সম্পর্ক একসঙ্গে বয়ে নিয়ে চলা বোঝা মনে হয়৷ তখন পার্টনারকে জানিয়ে দিতে চান তারা৷ তবে সেই সঙ্গেই তাদের মধ্যে গভীর অপরাধবোধও কাজ করে৷

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.