অ্যালোভেরার পাঁচ অজানা ব্যবহার

 


ODD বাংলা ডেস্ক: দেখতে অনেকটাই ক্যাকটাস বা ফণী মনসার মতো হলেও অ্যালোভেরা কিন্তু প্রজাতি হিসেবে মোটেও ক্যাকটাস নয়। সবার কাছেই অ্যালোভেরা নামে বেশ পরিচিত এটি। তবে কেউ কেউ এটিকে ঘৃতকুমারী নামে চেনেন। বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতাতেই উপকারী ভেষজ হিসেবে এর ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। শরীর ভালো রাখতে এর নানা রকম ব্যবহার সম্পর্কে কমবেশি সবাই জানেন।

তবে অ্যালোভেরার ভেষজ গুণ ছাড়াও রয়েছে আরো কিছু ব্যবহার। যা অনেকের কাছেই অজানা। চলুন তবে জেনে এন্যা যাক অ্যালোভেরার পাঁচ অজানা ব্যবহার সম্পর্কে-


ত্বকের যত্নে


অ্যালোভেরা ভাঙলে ভেতরে যে জেলির মতো পদার্থটি দেখা যায়, সেটি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ উপযোগী। এতে থাকে একাধিক ভিটামিন যার মধ্যে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে উপযোগী। তাছাড়া এতে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ত্বককে কোমল ও মোলায়েম রাখে। রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বককে পুনরায় সজীব করতেও সহায়তা করে অ্যালোভেরা।


মেকআপ তুলতে


যেহেতু এটি ত্বকের জন্য কোমল ও আর্দ্রতায় পরিপূর্ণ তাই কৃত্রিম রূপটান তোলার সময় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। একটি তুলোর টুকরো অ্যালোভেরার জেলে মিশিয়ে মুছে নিলেই কেল্লাফতে। শুধু রূপটানই নয়, দৈনিক ধুলো ময়লা তুলতেও একইভাবে ব্যবহার করা যায় এই পদ্ধতি।


দাড়ি কাটার ক্রিম হিসেবে


এর ঘনত্ব ও তেলতেলে রূপের জন্য দামি দাড়ি কাটার সাবান বা ক্রিমের বদলে ব্যবহার করা যায় এটি। গরম জল, অল্প তেল ও অ্যালোভেরা জেলের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে দাড়ি কাটার সময়। এটি যেহেতু প্রদাহ কমাতেও বেশ কার্যকর তাই দাড়ি কাটার পর জ্বালাও কমে এতে।


দাঁতের যত্নে


অ্যালোভেরার রস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথার উপশম করে থাকে। দাঁতে কোনো সংক্রমণ থাকলে দূর করে দেয় তাও। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয়রোধ করা সম্ভব।


ক্যান্সার প্রতিরোধে


গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যালো ইমোডিন, যা স্তন ক্যান্সার বিস্তার রোধ করে। এছাড়াও অন্যান্য কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধেও অ্যালোভেরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন অনেকে। অন্যদিকে, সংবহনতন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ও ডায়াবেটিস কমাতেও এর ভূমিকা আছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.