প্রতিদিন চকলেট খেলে কি হবে জানেন?



 ODD বাংলা ডেস্ক: চকলেট পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো খুঁজেই পাওয়া যাবে না। আবার এমন মানুষও আছেন যারা চকলেটের লোভ সামলাতে পারেন না। অনেকে শরীরচর্চার জন্য পছন্দের বিরিয়ান বা ফাস্টফুড ছাড়েন। অথচ চকলেটের ক্ষেত্রে কোনো বাঁধাই যেন টিকে ওঠতে পারে না। তবে যাই হোক, চকলেট খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতাও রয়েছে।


চকলট খাওয়ার ফলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া যারা শরীরে বেড়ে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে চান তাদের ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখে চকলেট। তবে এক্ষেত্রে মিল্ক চকলেট নয়, ভরসা রাখতে হবে ডার্ক চকলেটের ওপর। এবার তাহলে ডার্ক চকলেট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

ডার্ক চকলেটের বৈশিষ্টের মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপাদান রয়েছে। এতে ডায়াবেটিসের মতো রোগের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।ঃ


চকোলেটের মধ্যে থাকা কোনো মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মূলত কোকোর মধ্যে থাকা প্রচুর মাত্রায় ফ্ল্যাভনয়েড মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এতে শরীর, মনে সজীবতা ফিরে এবং চিন্তাশক্তি ও কার্যক্ষমতা বাড়ে। অনেক বিজ্ঞানীরা মনে করে থাকেন, স্মৃতিশক্তি দীর্ঘদিন অটুট রাখতে চকলেট বেশ উপকারী।


ডার্ক চকলেট হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। প্রতিদিন নিয়ম করে দু-তিন টুকরো চকলেট খাওয়ার ফলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে।


এছাড়া বার্ধক্যের প্রভাব রোধে ডার্ক চকলেটের ভূমিকা রয়েছে। এ কারণে যারা বয়স বাড়া প্রভাব কমাতে চান তারা ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। ডার্ক চকলেট অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসেবে ফল দিয়ে থাকে।


যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারাও ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। আবার নিয়মিত এটি খাওয়ার ফলে মিষ্টি, নোনতা, ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে আসে। এ কারণে প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত এক টুকরো ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত বেড়ে যাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.