মুখের রোমকূপ বড় হয়ে গিয়ে ত্বক অমসৃণ দেখাচ্ছে? কী করলে হবে মুশকিল আসান

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বলিউডের ভার্সেটাইল অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তার অভিনয়ের ভক্ত রয়েছেন তারকা মহলেও। কাজ করেছেন দর্শকনন্দিত সব সিনেমায়। এখন তিনি বলিউডে অভিনয়ের নবাব নামেই বেশি পরিচিত। সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে পা দেয়ার আগে নওয়াজউদ্দিনের জীবন ছিল একেবারেই ভিন্ন।


নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ভারতের উত্তর প্রদেশের ছোট গ্রাম বুধানায়ের একটি মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ৯ ভাইবোনের বিশাল এক পরিবারে জন্ম তার। পরিবারের সদস্যসংখ্যা বেশি থাকায় অভাব ছিল নওয়াজের নিত্যদিনের সঙ্গী। পরিবারসহ সবাই থাকতেন ছোট্ট একটি ঘরে। এখন তিনি মুম্বাইয়ে প্রাসাদসম বাড়ি বানিয়েছেন, যার নাম রেখেছেন ‘নবাব’।


নওয়াজ নিজের স্বপ্নের বাড়ির নামকরণ করেছেন বাবার স্মৃতির উদ্দেশ্যে। বাড়িটি নির্মাণে প্রায় তিন বছর সময় লেগেছে। নওয়াজের নতুন এই বাড়ি ছোটবেলার সেই বাড়ির আদলে তৈরি করা হয়েছে।


নিজের নতুন বাড়িটি নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন স্যাক্রেড গেমসের এই তারকা। বলেছেন নিজের সংগ্রামী জীবনের গল্প। নওয়াজ বলেন, ‘আজকে আমার বাথরুম যতটা বড়, ঠিক ততটুকু ঘরে এক সময় আমি থাকতাম। যখন আমি মুম্বাইতে শিফট হই, চার উদীয়মান অভিনেতার সঙ্গে রুম শেয়ার করতাম। ঘরটা এতটাই ছোট ছিল, দরজা খুললে কারও পায়ে লেগে যেত। সবাই মাটিতে ঘুমাতাম। ধীরে ধীরে আমি তিনজনের সঙ্গে নিজের রুম শেয়ার করতাম। এরপর দুজনের সঙ্গে রুম শেয়ার করতে শুরু করি। ২০০৫ সাল থেকে একা থাকতে শুরু করি। এখন আমি পরিবারের জন্য রাজপ্রাসাদ বানিয়েছি।’


নওয়াজের প্রাসাদসম বাড়িতে রয়েছে ছয়টি বিশাল কক্ষ, দুটি বড় হলঘর, দুটি সবুজ রাস্তা। বাবার স্মৃতির উদ্দেশ্যে বাড়ির এই নামকরণ সম্পর্কে নাওয়াজ বলেন, ‘মুম্বাইতে ফ্ল্যাট বানানোর মতো মন ছিল না আমার। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করতাম বাড়ি বানানোর। কিন্তু বাড়িটি নির্মাণের আগেই তিনি চলে গেলেন। বাড়িটা বাবা দেখে যেতে পারলে খুব খুশি হতেন। বাবার খুশি দেখে আমি নিজেও খুব আনন্দিত হতাম।’


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.