শরীরে প্রচুর বিষ জমলে যে ৮টি লক্ষণ দেখা দেয়!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমা’দের শরীরে রোজ ক্ষ’তিকারক বি’ষ প্রবেশ করছে, অবাধে। কখনও আম’রা অজান্তেই তা শরীরে প্রবেশ করাচ্ছি। আবার কখনও জেনেশুনে বিপদ ডেকে আনছি। তা আপনি জেনেই করুন বা না জেনে, বি’ষ আপনাকে প্রত্যহ ‘পান’ করতেই হচ্ছে। শরীরে


অ’ত্যাধিক বি’ষ জমা হলে, তা শরীরই জানান দেয়। কী’ দেখে বুঝবেন আপনার শরীরেও জমে রয়েছে প্রচুর বি’ষ, জানাচ্ছি আম’রা। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক – ১. সীমাহীন ক্লান্তি আপনি সবসময়ই ক্লান্ত। কাজ করুন আর নাই করুন, শত বিশ্রাম নেওয়ার পরও ক্লান্তির যেন শেষ নেই। শরীর অ’তিরিক্ত চাপে থাকার লক্ষণ ‘হতে পারে এটি, যা বেশ আশ’ঙ্কাজনক ব্যাপার। সীমাহীন ক্লান্তির প্রধান কারণ হল


‘অ্যাড্রেনালাইন’ গ্রন্থি, যা এই চাপের সময়ে প্রয়োজনীয় হরমোন সরবরাহ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। হরমোন সরবরাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় একসময় গ্রন্থিগু’লোও ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই এসময় শান্ত হয়ে শরীরের বিশু’দ্ধিকরণের দায় নিজেকে নিতে হবে। ২. অল্পতেই রোগাক্রা’ন্ত সামান্য এলোমেলো হলেই যদি অ’সুস্থ হয়ে পড়েন তবে বুঝতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দূর্বল হয়ে গেছে। তাই ভাই’রাস,


ব্যাকটেরিয়া ও জী’বাণু সহ’জেই আ’ক্রমণ করতে পারছে। এসময় প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর না হলে তার পরিণামে ভুগতে হয় অন্ত্রকে এবং পরিশেষে ক্ষ’তিগ্রস্ত হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, জাঁকিয়ে বসে রোগবালাই। ৩. অনিয়ন্ত্রিত মেজাজ প্রচুর কাজের চাপে থাকতে থাকতে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, পান থেকে চুল খসলেই মেজাজ উঠে স’প্ত মে। কাজের প্রচুর চাপ থাকলে শরীর


এবং মন এই চাপ সবার আগে অনুভব করে। এর স’ঙ্গে মোকাবেলা করার জন্য শরীর তৈরি করে মন খুশি করার হরমোন ‘ডোপামিন’ যা ‘হ্যাপি হরমন’ হিসেবেও পরিচিত। তবে অনেক সময় এই হরমোনের মাত্রা মানসিক চাপ মোকাবিলায় পরিমাণে কম হয়ে যায়। এসময় মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ‘হতাশাগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন, যা নিরাময় করা আরও জটিল। ৪. দূর্বল স্মৃ’’তি ও মনোযোগের অভাব বয়সের বাড়ার স’ঙ্গে স্মৃ’’তিশক্তি ও মনোযোগ ধরে রাখার ক্ষমতা কমতে থাকে, এটা অ’ত্যন্ত সহ’জ সমীকরণ। তবে শরীরে প্রচুর বি’ষাক্ত উপাদান


থাকলে যকৃত ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়। ফলে র’ক্তে বি’ষাক্ত উপাদান জমে র’ক্তপ্রবাহের মাধ্যমে মস্তিষ্কে গিয়ে পৌঁছায়। এমনটা হলে মস্তিষ্কের ‘নিউরোট্রান্সমিটার’ ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। ৫. ঘু’মের সমস্যা শরীরের বি’ষাক্ত উপাদানের মাত্রা বেড়ে গেলে তার ক্ষ’তিকর প্রভাব পড়তে পারে ঘু’মের উপরও। এই অ’তিরিক্ত বি’ষাক্ত উপাদান শরীরের ‘সার্কাডিয়ান রিদম’ নষ্ট করে, ফলে সহ’জে ঘু’ম আসে না। আরও বাজে ব্যাপার হল এই বি’ষাক্ত উপাদানের কারণে গভীর রাতে ঘু’ম ভেঙে যেতে পারে। অসময়ে ঘু’ম


ভেঙে যাওয়ার কারণে দেখা ‍দিতে আরও মা’রাত্বক সমস্যা। ৬. ত্বকের সমস্যা শরীরে বি’ষাক্ত উপাদান বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব বেশিরভাগ সময় ত্বকের উপরেই পড়তে দেখা যায়। ত্বকের বিভিন্ন প্রদাহ, অ্যালার্জি, ব্রণ ইত্যাদি দেখা দেয় এবং সেগু’লো সারতেও সময় লাগে বেশি। আবার খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যকর না হলে ‘কার্বোহাইড্রেইট’ এবং চর্বি খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায় যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই ত্বকের সমস্যা দূর করতে খাদ্যাভ্যাসে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনতে হবে। ৭. খাওয়ার ইচ্ছা ক্ষুধার জন্যই যে কিছু খেতে ইচ্ছে করবে- ব্যাপারটা অ’ত সরল নয়


সবসময়। মস্তিষ্ক বিশেষ কিছু খেতে ই’ঙ্গিত করছে, তবে তা খেলে ক্ষুধা নিবারণ হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই প্রায়ই যদি ‘কিছু’ খেতে ইচ্ছে করে তবে শরীর বিশু’দ্ধিকরণ প্রকল্প হাতে নিতে হবে। ৮. শারীরিক দুর্গন্ধ শরীরে প্রচুর বি’ষাক্ত উপাদান থাকলে দুর্গন্ধ ‘হতে পারে। শরীর থেকে বি’ষাক্ত উপাদান বের হলে ঘামে দুর্গন্ধ হয়। তবে বি’ষাক্ত উপাদানের মাত্রা অ’তিরিক্ত হলে ঘাম বেশি হবে এবং দুর্গন্ধও বেশি হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.