‘প্রতিবছরই’ এভারেস্ট জয় করেন যিনি

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  কেউ যখন এভারেস্ট জয় করেন, তখন তিনি ওই দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠেন। ১৯২১ সাল থেকেই এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার অভিযান চলছে। প্রত্যেক পর্বতারোহীর-ই স্বপ্ন থাকে অন্তত একবার হলেও বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হিমালয়ের চূড়ায় পা রাখার। কিন্তু কামি রিটা শেরপার কাছে এ যেন ডাল-ভাত। তিনি এই নিয়ে ২৪ বার এভারেস্ট শীর্ষে পা রেখেছেন।

শুধু তাই নয়, তিনি এ বছরই এভারেস্ট জয় করেছেন দুই বার। একবার ১৫ মে এবং তারপরে ২১ মে। সেভেন সামিট ট্র্যাক নামের যে ভ্রমণ সহায়তা প্রতিষ্ঠানের হয়ে তিনি কাজ করেন সে প্রতিষ্ঠান গত ২১ মে বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লিখেছে- ‘আমাদের জৈষ্ঠ্য গাইড কামি রিটা শেরপা ২৪তম বারের মতো এভারেস্ট জয়, যা ৮,৮৪৮ মিটার। অনেক অনেক অভিনন্দন তাকে।’


নেপালের সলুখুম্বু জেলার থামি গ্রামে বাড়ি এই পর্বোতারোহীর। ১৯৯৪ সালের ১৩ মে প্রথম বার এভারেস্টে পা রাখেন কামি রিটা। তারপর থেকে শুধুমাত্র ১৯৯৬, ২০০১, ২০১১ এবং ২০১৪ বাদে, প্রত্যেক বছরই এভারেস্ট শীর্ষে পৌঁছেছেন তিনি। এ নিয়ে চার মৌসুমে দু’বার করে  এভারেস্ট শীর্ষে পা রেখেছেন। এর আগে ২০০৯, ২০১০ এবং ২০১৩ সালে এভারেস্টে ‘ডবল অ্যাসেন্ট’ করেছিলেন তিনি।


শেরপা গোষ্ঠীর একজন হচ্ছেন কামি রিটা। তার গোষ্ঠীর বেশিরভাগ মানুষ পর্বত আরোহনের গাইড হিসেবে কাজ করেন। তারা বসবাস করেন নেপাল এবং হিমালয় পর্বতের আশেপাশেই। অনেক শেরপাই খুবই দক্ষ পর্বতারোহী এবং স্থানীয় এলাকার সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞ। কামি রিটাও তেমন একজন শেরপা।


এভারেস্টে ওঠার প্রতিটি মৌসুমেই নতুন রেকর্ড গড়া হয়। এবারো এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার সারা এন কুশি কুম্বলো প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান নারী হিসেবে এভারেস্ট করেছেন। এবং এ বছরেও অনেক পর্বতারোহী মারা গেছেন এবং হারিয়ে গেছেন। কিন্তু থেমে নেই এভারেস্ট জয় করার কাজটি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.