গর্ভবতী বোঝা যাবে যেসব লক্ষণে

 


ODD বাংলা ডেস্ক:  নারীদের বিয়ের পর সাধারণত অনেক শারীরিক পরিবর্তন দেখা দেয়। এ ছাড়া নতুন অবস্থায় অনেক কিছু বুঝে উঠতে পারেন না মেয়েরা। ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার পড়তে হয় তাদের। আর নিরাপত্তার স্বার্থে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে থাকা উচিত। তাই নারীরা গর্ভবতী হলে তা সঠিক সময়ে জানা মা ও শিশু দুজনের জন্য ভালো।

গর্ভবতী কিনা জানার জন্য আসলে বর্তমানে নানা ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। একজন নারী তার গর্ভ ধারনের বিষয় নিয়ে সব সময়ই অনেক আনন্দিত ও প্রফুল্ল থাকে। তবে অনেক সময় মেয়েরা প্রথম কয়েক মাস বুঝতে পারেন না যে তিনি গর্ভবতী।


আপনি গর্ভবতী এটি নিশ্চিত হতে আমরা ডাক্তারের কাছে গিয়ে থাকি। তবে এখন ডাক্তারের কাছে গিয়েই নয়, ঘরে বসেও আপনি নিশ্চিত হতে পারেন আপনি গর্ভবতী কিনা। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লক্ষণগুলো সম্পর্কে-


১। সাধারণত প্রথম সপ্তাহে মুখের মধ্যে ধাতব স্বাদ লক্ষ্য পাওয়া যায়। অনেকসময় মুখে দুর্গন্ধও হয়। গর্ভাবস্থার কারণে শরীরে হরমোনের মাত্রার তারতম্যের কারণে এই তফাৎ হতে পারে।


২। অনেকসময় মুখে বা হাতে-পায়ে কালো কালো দাগ ছোপ দেখা য়ায়। মূলত একে মেলাস্মা বলে। আসলে গর্ভধারণের সময় ত্বকের সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। এর ফলে চেহারায় এই কালো দাগ-ছোপ দেখা যায়।


৩। সাধারণত আমরা নানি-দাদিদের মুখে শুনে আসছি যে, নারীরা গর্ভবতী হওয়ার পর সকালে ঘুম থেকে উঠলে প্রচণ্ড দুর্বল, মাথা ঘোরা ও বিষণ্ন লাগে। এটি গর্ভবতী হওয়ার অন্যতম লক্ষণ।এ ছাড়া হজমে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।


৪। নারীদের প্রতি মাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পিরিয়ড হয়ে থাকে। যদি তা না হয়, তবে বুঝে নিতে হবে আপনি গর্ভবতী।


৫। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, পিরিয়ডের সময় খুব সামান্য পরিমাণ রক্তপাত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়। এটি হতে পারে গর্ভধারণের লক্ষণ।


৬। গর্ভধারণের আরেকটি লক্ষণ হল- স্তনের পরিবর্তন। আপনি যদি গর্ভধারণ করেন, তা হলে স্তনের আকৃতি কিছুটা বৃদ্ধি পাবে ও নিপল গাঢ় রঙ ধারণ করবে।


৭। প্রেগন্যান্সিরর একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো ক্লান্তি। যেহেতু শরীর এই সময় বাড়ন্ত শিশুকে পুষ্টি দেয়ার জন্য অতিরিক্ত রক্ত উৎপন্ন করে এ কারণে অল্পতে ক্লান্তি আসে। প্রথম সপ্তাহে এই ক্লান্তিভাব বেশি হয়।


৮। প্রেগন্যান্সির সময় শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ তরল উৎপাদন করে। এজন্য কিডনি দ্বিগুণ পরিমাণে কাজ করে। সে কারণে অতি ঘন ঘন শৌচাগারে যাওয়া প্রয়োজন হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.