বিচ্ছেদের আগে যেসব আলোচনা জরুরি

 


ODD বাংলা ডেস্ক: সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার চিন্তা করেছেন? তবে হুট করে সম্পর্কের ইতি টানার আগে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা অপরিহার্য। আর তাই সম্পর্ক শেষ হওয়ার আগে সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করুন। বেশ কিছু বিষয়ে পরিষ্কার হয়ে নিন দুজনেই। এরপর বুঝতে চেষ্টা করুন, আপনারা উভয়েই সম্পর্কটিকে এখানেই শেষ করতে চান কি না।

স্বাস্থ্য ও জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই এক প্রতিবেদনে বিচ্ছেদের আগে আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে। একঝলকে পড়ে নিন—


আপনি কি এই সম্পর্কে সুখী


উপসংহারে পৌঁছানোর আগে এটি জানা ভীষণ জরুরি, সম্পর্কে আপনি ও আপনার সঙ্গী খুশি কি না। এমনও হতে পারে, আপনি অপর পক্ষের পরিস্থিতি বুঝে উঠতে পারছেন না। আপনি হয়তো অনেক হতাশ হয়ে পড়ায় সম্পর্কের ভালো দিকগুলো দেখতে পাচ্ছেন না। তাই আপনারা দুজনে সত্যিকার অর্থেই সুখী কি না, সেটি জানার আগ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়।


কোনটি আপনার কাছে বেশি বিরক্তিকর


আপনি যদি প্রতিদিনের তর্ক ও বিরোধ এড়াতে সম্পর্ক শেষ করতে চান, তাহলে সঙ্গীর কোন বিষয়টি আপনার কাছে বেশি বিরক্তিকর, তা জানানো উচিত। হয়তো সঙ্গী আপনার কোনো কথাই শোনেন না কিংবা তার সব সিদ্ধান্ত আপনার ওপর চাপিয়ে দেন। কিন্তু সঙ্গীর মতামত জানার জন্যও প্রস্তুতি থাকতে হবে আপনার। এমনও হতে পারে, তিনি কেন এমনটি করেন, তা ব্যাখ্যার চেষ্টা করবেন। উত্তেজিত হওয়ার পরিবর্তে সঙ্গী কী বলছেন, তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।


সম্পর্ক থেকে আপনি যা চান


অনেক বেশি প্রত্যাশা থাকা মোটেই ভালো কিছু নয়। আবার এমনও হতে পারে, আপনার প্রত্যাশা সম্পর্কে সঙ্গী অবগত নন। আপনি হয়তো সম্পর্কে সমতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা চান, কিন্তু এ সম্পর্কে আপনার সঙ্গী অবগত নন। তাই সম্পর্ক থেকে আপনি কী চেয়েছিলেন ও কী পেয়েছেন, ইতি টানার আগে তা আলোচনা করা জরুরি।


কোন বিষয় আপনাকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে


সব বিচ্ছেদই অসুন্দর নয়। সঙ্গীর সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগের সুযোগ পেলে তাকে বিচ্ছেদ চাওয়ার বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন। তার সঙ্গে বিচ্ছেদ চাওয়ার যুক্তিযুক্ত কারণ হয়তো বা আপনার থাকতে পারে। হতে পারে ধর্মীয় দিক, পছন্দের বিষয়, জীবনধারাসহ অনেক বিষয়ই ভিন্ন। ধীরে ধীরে কীভাবে সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে এবং কেন আপনি বিচ্ছেদ চাইছেন, তা সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলুন। এটি আপনার সঙ্গীকে তার ভুল বুঝতে সাহায্য করতে পারে এবং এতে সম্পর্ক ভালো হয়ে যেতে পারে।


সম্পর্কে দুজনের প্রচেষ্টা


আপনারা সম্পর্কে বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন বলে যে একে অপরকে অভিযুক্ত করতে হবে, তা কিন্তু নয়। একে অন্যের নেতিবাচক দিকগুলো প্রকাশ না করে বরং সম্পর্ক চলাকালে নিজেদের প্রচেষ্টা ও অবদান নিয়ে কথা বলুন। একে অপরের প্রশংসা করুন হাসিমুখে। এতে বিচ্ছেদ কদাকার হবে না।


কীভাবে সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে


সম্পর্কে বিচ্ছেদ কখনোই উদ্ভূত সমস্যার সমাধান এনে দেবে না। আর তাই সমস্যাগুলো সমাধানের যদি কিছুটা হলেও সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তা নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে কথা বলুন। সেইসঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার সম্ভাব্যতা নিয়েও কথা বলুন।


বিচ্ছেদের পরে যে বিষয়ে মনোযোগ দিতে চান


সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে আপনি হয়তো জীবনের অন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে চান। আর ওই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা আপনাকে আহাজারি ও কান্না থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। দুজনেই ওই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার অর্থ হচ্ছে, বিচ্ছেদের পরে আপনারা বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন।


সম্পর্কে কাটানো ভালো মুহূর্তগুলো


আপনাদের সম্পর্কে হয়তো ভালো কিছু মুহূর্ত থাকতে পারে। আপনি হয়তো সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছেন, কিন্তু সেসব সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে কেন কথা বলছেন না? সম্পর্কের স্মরণীয় মিষ্টি মুহূর্তগুলো নিয়ে কথা বলে আপনি বিচ্ছেদের যন্ত্রণা ভুলে থাকতে পারেন।


তবে উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার সময় মোটেই আবেগপ্রবণ হওয়া চলবে না। আর সুন্দর আলাপন অবশ্যই আপনাকে ভালো মনের মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.