ইথিওপিয়া: যে দেশে ১৩ মাসে বছর!

 


ODD বাংলা ডেস্ক: যুদ্ধবিগ্রহ, উত্তরাঞ্চলে তীব্র খাদ্য সংকট এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি সত্ত্বেও নতুন বছরকে সমারোহে বরণ করে নিচ্ছে ইথিওপিয়া। নববর্ষ উপলক্ষ্যে দেশটির অনেকেই নিজ বাড়িতে ভোজের আয়োজন করেছেন।


কিন্তু আপনি কি জানেন, আফ্রিকার এই দেশের বর্ষপঞ্জিকা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অন্যদের চেয়ে বেশ আলাদা?


কোনো দেশে ১৩ মাসে বছর হয়, তা হয়তো আগে কখনো আপনার জানাই ছিল না। কিন্তু হ্যাঁ, ইথিওপিয়াতে ১৩ মাসেই বছর ধরা হয়। শুধু তাই নয়, ইথিওপিয়ান ক্যালেন্ডার পশ্চিমা ক্যালেন্ডারের চেয়ে সাত বছর আট মাস পিছিয়ে!


এর কারণ, ইথিওপিয়ানরা যীশুখ্রিস্টের জন্মসাল ভিন্নভাবে হিসাব করে। ৫০০ খ্রিস্টাব্দে ক্যাথলিক চার্চ তাদের হিসাবটি সংশোধন করলেও ইথিওপিয়ার প্রচলিত চার্চ তা করেনি।


তাই ওই দেশে যখন নতুন বছর শুরু হয়, বর্তমান পশ্চিমা ক্যালেন্ডারে তখন সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ! আর যদি অধিবর্ষ হয়, সেক্ষেত্রে বছরের শুরু ১২ সেপ্টেম্বর থেকে।


শুধু তাই নয়, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের শিশুদের মতো ইথিওপিয়ার শিশুদের দিন-মাস গণনার ছড়া শেখার প্রয়োজন নেই বললেই চলে। কারণ ইথিওপিয়ায় এই হিসাবটা খুবই সোজা। তারা বছরের ১২ মাসের প্রতিটি মাস ৩০ দিনের ধরে থাকে। অন্যদিকে, অধিবর্ষের ওপর ভিত্তি করে তাদের ১৩তম মাসটি ৫ অথবা ৬ দিনের!


ইথিওপিয়ার সময় গণনার ধরনটি আপনাকে আরও অবাক করবে। কারণ তারা একটি দিনকে ১২ ঘণ্টা করে দুটি ভাগে ভাগ করে, যার প্রতিটির সময় শুরু ৬টা থেকে। তার মানে, ইথিওপিয়ায় দিনের মধ্যভাগ ও মধ্যরাত- দুটিই হয় স্থানীয় সময় ৬টায়!


নিজ দেশের পতাকা হাতে ইথিওপিয়ানদের কুচকাওয়াজ। ছবি: গেটি ইমেজ

তাই কেউ যদি আপনাকে দেশটির রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ১০টায় কফি খাওয়ার নিমন্ত্রণ জানায় এবং ওই ব্যক্তি নিজে যদি ৪টায় এসে উপস্থিত হয়, তাহলে অবাক হবেন না যেন!


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.