নাক দিয়ে রক্ত পড়ার চিকিৎসা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যেমন সময় বয়ে চলেছে, ঠিক তেমনই পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে রোগের পাদুরভাব। একেই তো এখন করোনা কাল চলছে। এছাড়া লেগেই আছে কিছু না কিছু সমস্যা, সমস্ত শরীর জুড়েই। একটি ছোট খাত রোগ আছে, যার নাম নোস ব্লিদিং।অনেকেই আছেন যারা এই সমস্যায় ভোগেন। নাক থেকে রক্ত পড়ার দৃশ্য অত্যন্ত ভয়াবহ। সৌভাগ্যক্রমে, এর কিছু কার্যকর ঘরোয়া দাওয়াই আছে। সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয় হল, এই রোগে ভুগে যত না সমস্যা বা কষ্ট হয়। তাঁর থেকে বেশি মুশকিল এটি দেখতে ভীষণ ভয়াবহ, পাবলিক প্লেসে।


আসুন দেখে নেওয়া, এটি কমাতে কোন কোন ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে।

১. স্যালাইন জল-  শীতকালে নাকের ভিতরের শুষ্ক ভাব নোস ব্লিডিং এর অন্যতম প্রধান কারণ। স্যালাইন জল এই সমস্যা দূর করতে পারে। নাকের ভিতরের অংশের আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে, একটা বাটিতে কিছুটা স্যালাইন জল ভালো করে মিশিয়ে নাকের মধ্যে কয়েক ফোঁটা রাখুন।


২. জল-  জলের ঘাটতির জন্য নাকের ভিতরের মিউকাস পর্দা শুকিয়ে যায়, যার ফলে নোস ব্লিডিং শুরু হয়। তাই সারাদিন প্রচুর জল পান করা প্রয়োজন।


৩. ভিটামিন k-  ভিটামিন K সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন কলা, পালং শাক, সর্ষে শাক, ব্রোকলি, বাঁধাকপি শরীরে কলিজেন উৎপন্ন করে যা নাকের ভিতরের অংশকে আদ্র রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘদিনের সুস্থতার জন্য ভিটামিন K সমৃদ্ধ খাবার খান। সবুজ শাক সবজি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।


৪. বিছুটি পাতা-  বিছুটি পাতা একটি প্রাকৃতিক হাইমোস্তাটিক উপাদান। বিছুটির রস এলার্জি-জনিত নোস ব্লিডিং ও বন্ধ করতে সক্ষম। বিছুটি জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে, তার মধ্যে তুলো ভিজিয়ে নাকে 5-10 মিনিট লাগালে নোস ব্লিডিং বন্ধ হয়ে যায়।


৫. আপেল সিডার ভিনেগার-  এটির জন্য আপনাকে সামান্য তুলো এই ভিনিগারে ভিজিয়ে নাকের ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় কমপক্ষে 10 মিনিটের জন্য রাখতে হবে। এটি তাৎক্ষণিক কাজ শুরু করে।


৬. গোলমরিচ গুঁড়ো-  এটি উদ্দীপকে কাজ করায় রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম, ফলে আহত স্থানের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে পারে। নোস ব্লিডিং শুরু হলেই এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো জলে মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারলে অতি দ্রুত ব্লিডিং বন্ধ হয়ে যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.