মুরগির কলজে উপকারী না কি ক্ষতিকর? খাওয়ার আগে একবার অন্তত জেনে নিন...
ODD বাংলা ডেস্ক: মাসে কয়েকবার মুরগির মাংস স্বাভাবিক ভাবেই খাওয়া হয়ে থাকে। রান্না সহজ ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় কেউ কেউ আবার সপ্তাহে দুই-তিনও মুরগির মাংস খেয়ে থাকেন। তাছাড়া মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন পদও থাকে বিকেলের নাস্তায়। এক কথায় মুরগির মাংস ছোট- বড় সবারই প্রিয়। তাইতো এর চাহিদাও বেশি।
তবে মুরগির মাংস পছন্দের হলেও এর কলিজা অনেকেরই পছন্দ নয়। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, মুরগির মাংসের তুলনায় মুরগির লিভার বা কলিজার পুষ্টিগুণ কোনো অংশে কম নয়। মুরগির কলিজায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার রয়েছে।
পুষ্টিবিদদের মতে, মুরগির কলিজা দৃষ্টিশক্তি ও মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের মতো অসুখের জন্যেও এই কলিজা দারুণ উপকারী। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের মুরগির কলিজা না খাওয়াই ভালো।
এছাড়াও মুরগির কলিজা খেলে আরো যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে চলুন সেগুলো জেনে নেয়া যাক-
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
কম ক্যালোরিযুক্ত খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো মুরগির লিভার বা কলিজা। ওজন কমাতে এবং স্থূলতা প্রতিরোধে মুরগির কলিজা খুব কার্যকর। তবে কীভাবে রান্না করা হয় তার ওপর ক্যালোরির পরিমাণ নির্ভর করে। কেউ যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে ফ্রায়েড মুরগির কলিজা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে অনেক বেশি ক্যালোরি, উচ্চ সোডিয়াম এবং ফ্যাট থাকে। এই সবই হৃদরোগ এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা বাড়াতে পারে।
অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে
মুরগির কলিজা আয়রন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। শরীরে ভিটামিন বি১২-এর অভাব মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে মুরগির কলিজা। ভিটামিন বি১২ এবং আয়রন উচ্চ মাত্রায় থাকার কারণে মুরগির কলিজা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতার সমস্যা মেটাতে পারে।
হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে
মুরগির লিভারে সেলেনিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে, যা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের মতো কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। এছাড়াও সেলেনিয়াম হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, বিভিন্ন সংক্রমণ, গাঁটে গাঁটে ব্যথা এবং কৃমির সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। সেলেনিয়াম ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক।
বিভিন্ন অঙ্গ ভালো রাখে
মুরগির কলিজা পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। এতে থাকা ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং কিডনি ও হৃৎপিণ্ডের মতো অঙ্গগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এছাড়া, ভিটামিন বি২ বা রাইবোফ্ল্যাভিন সমৃদ্ধ মুরগির কলিজা শরীরকে খাদ্য থেকে শক্তি তৈরি করতে সাহায্য করে এবং কোষগুলো শক্তিশালী রাখে। এতে থাকা ভিটামিন বি১২ ব্রেন বা মস্তিষ্ককে আরও ভালো ভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।
জ্বর, সর্দি-কাশি কমায়
মুরগির কলিজায় থাকা জিঙ্ক, জ্বর, টনসিলাইটিস, সর্দি-কাশি সৃষ্টিকারী জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এতে থাকা কোলাজেন ও ইলাস্টিন শরীরের শিরা-উপশিরায় রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে। প্রোটিন সমৃদ্ধ মুরগির কলিজা অপুষ্টিজনিত সমস্যাও দূর করে। হাড় ও পেশির গঠন মজবুত করে।
Post a Comment