১৪ ঘণ্টা পার! এখনও জ্বলছে ট্যাংরার আগুন
ODD বাংলা ডেস্ক: ১৪ ঘণ্টায় পেরিয়ে গেলেও আগুন নেভেনি। লেলিহান শিখা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও রয়েছে পকেট ফায়ার। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। ঘণ্টায় পর ঘণ্টায় ধরে জ্বলা বিধ্বংসী এই আগুন পুড়ে ছারখার হয়ে গিয়েছে ট্যাংরার গোডাউনের সমস্ত কাপড়।
যে কোনও মুহূর্তে ট্যাংরার ওই কাপড়ের গোডাউনের দোতলা দেওয়ার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘিঞ্জি ওই এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই সচেতন করা হয়েছে। দ্রুত পকেট ফায়ার নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যবহার করা হচ্ছে সাতটি জেট স্প্রে। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুও ভঙ্গুর ওই দেওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।
দমকলের তরফে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, কাপড়ের ওই গোডাউনে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। সেই সময়ই আগুন লেগে যায়। গোডাউনের ভেতরে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ২০ থেকে ৩০ কাঠা জমিতে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। বিরাট আগুনের তাপে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। খালি করা হচ্ছে গুদাম সংলগ্ন এলাকা। গুদামের পিছনেই রয়েছে একটি বস্তি। তবে আগুন সেদিকে ছড়ায়নি বলেই খবর।
রাতেই ভয়াবহ চেহারা নিয়েছিল ট্যাংরার গোডাউনের আগুন। যত রাত বেড়েছে আগুনের লেলিহান শিখাও বেড়েছে। আর বাড়ানো হয়েছে দমকলের ইঞ্জিন সংখ্যাও। রাতেই ঘটনাস্থলে আসে মোট ১৫টি ইঞ্জিন। আনা হয় সাতটি ডেট স্প্রেও। একসঙ্গে সবকটি ইঞ্জিন ব্যবহার করেও আগুনকে বাগে আনা যায়নি।
শনিবার রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানান, ''কার ভুল সে পোস্টমর্টেম পরে হবে আগে তো আগুন নিভুক।'' পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। আগুন নেভাতে গিয়ে তিন দমকল কর্মীর অসুস্থ হয়ে যাওয়ার খবর মিলেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ট্যাংরার ওই কাপড়ের গোডাউনের আশপাশের এলাকা বড্ড ঘিঞ্জি। সেভাবে জলের কোনও উৎসও নেই। ফলে জল শেষ হয়ে যাওয়ায় মুশকিলে পড়তে হয় অগ্নি নির্বাপক সংস্থার কর্মীদের। জলের বালতি করে জল ঢেলে আগুন নেভানোয় হাত লাগান স্থানীয়রাও।
অন্যদিকে, এদিন ভোরবেলা ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের একটি হোটেলে আগুন লেগে গিয়েছিল। ওই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাংলাদেশের এক মহিলা। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে ৬০ বছরের ওই মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয় এদিন। ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও এক বাংলাদেশী নাগরিক। যদিও তাঁর চোট গুরুতর নয় বলেই খবর।
Post a Comment