কামসূত্র নিয়ে যে দশটা কথা আপনি জানেন না! জানলেই...
ODD বাংলা ডেস্ক: ১) কামসূত্রে ৬৪টি যৌন ভঙ্গিমা বা ‘সেক্সুয়াল পজিশন’-এর কথা বলা হয়েছে। এই বইতে বলা হয়েছে আট রকমভাবে ভালবাসা যায়। প্রতিটি ভালবাসায় ৮টি করে ‘সেক্সুয়াল পজিশন’থাকে।
২) সংস্কৃততে কাম শব্দের মানে হল বাসনা, আর সূত্র শব্দের মানে হল নিয়ম। বাসনার মধ্যে সেক্সের পাশাপাশি বলা হয়েছে গান, পড়া, কবিতা, নাচকেও। ভারতে ‘কাম’ ও ‘কর্ম’ শব্দে একসময় কোনো অর্থভেদ ছিল না। উপমহাদেশের কোনো কোনো ভাষা এখনও এই অর্থসম্পর্ক বহন করে।
২) ১৮৮৩ সালে ব্রিটেনে ২৫০ কপি কামসূত্র বই বিক্রি হওয়ার পর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৩ সাল থেকে বইটির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। বতর্মানে সর্বকালের সেরা বেশি বিক্রিত হওয়া বইয়ের তালিকায় একেবারে প্রথমের দিকে আছে কামসূত্র।
৩) কামসূত্র বইতে মাত্র ২০ শতাংশ সেক্সুয়াল পজিশনের কথা বলা হয়েছে। বইয়ের বাকি ৮০ ভাগে বলা হয়েছে কী করে ভাল নাগরিক হওয়া যায়। পুরুষ, নারীর সম্পর্ক কী করে ভাল থাকে।
৪) যেসব প্রেমিক-প্রেমিকা পিঠের ব্যথা, আর্থারাইটিস জাতীয় রোগে ভুগছেন তাদের কামসূত্র পজিশন চেষ্টা না করার সতর্কবার্তা দেওয়া আছে এই বইতে।
৫) ১৯৯৬ সালে কামসূত্রের ওপর তৈরি হওয়া“Kama Sutra – A Tale Of Love” সিনেমাটিকে প্রথমে ভারতে রিলিজে ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে টালবাহনা করা হয়। ১৪টা কাটের পর সিনেমাটিকে ভারতে মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
৬) কামসূত্রে বলা হয়েছে কামড়ানো ও খিমচানো ভালবাসা বাড়ানোর একটা বড় উপায়। এ জন্য আঙুলের নখ পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই বইয়ে। দাঁত পরিষ্কার রাখার কথাও বলা হয়েছে।
৭) কামসূত্রে ঘর সুন্দর রাখার টিপস দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ঘরে থুতু ফেলার আলাদা সুন্দর পাত্র রাখা উচিত, হাতির দাঁতের তারের বাজনা ঝুলিয়ে রাখা উচিত, পরিষ্কার ঘর ও নরম বিছানা এবং অবশ্য ফুলের পাত্র রাখা উচিত।
৮) পরস্ত্রীদের সঙ্গে মিলনের জন্য আলাদা একটা অধ্যায় রাখা হয়েছে এই বইতে। তবে সেইসঙ্গে বলা হয়েছে বিবাহিত মহিলাদের সঙ্গে পরপুরুষদের শারীরিক মিলন বা ভালবাসা উচিত নয়।
৯) কামসূত্রে ৪০টি বিভিন্ন উপায়ে চুম্বনের কথা বলা হয়েছে। সেই উপায়গুলিকে দশ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১০) কামসূত্রে যৌন উদ্দীপক বা ভায়াগ্রার কথা বলা হয়েছে। এই বইতে বলা হয়েছে দুধের সঙ্গে ডিম সিদ্ধ, মাখন ও মধু মিশিয়ে খেলে পুরুষদের ভালবাসার জীবন অনেক বেশি রঙিন হয়।
Post a Comment