আমন্ড: এক ‘সুপারফুড’

ODD বাংলা ডেস্ক: স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই শাকসবজি, মাছ-ডিম আর মাংস। তবে এ ছাড়াও রসনার জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে গুটিকয়েক আবার ‘সুপারফুড’ তকমা পেয়েছে। কারণ খাবারগুলোর স্বাস্থ্যগুণ পুষ্টিবিজ্ঞানীদের বিস্মিত করে দেয়। আলমন্ড এক ধরনের বাদাম। আর এই বাদামটিই ‘সুপারফুড’। কিন্তু কেন? সেই উত্তর জেনে নেওয়া যাক।

এক পলকে পুষ্টিগুণের হিসাব

মানবদেহের যেসব খাদ্য উপাদানের দরকার, আলমন্ডের প্রতি ক্যালোরিতে তার পূর্ণতা রয়েছে। এক আউন্স আলমন্ড বাদামে পাবেন ১৬১ ক্যালোরি। থাকছে ১৩ গ্রাম সম্পৃক্ত ফ্যাট আর ৩ দশমিক ৪ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য ফাইবার। দিনে যে পরিমাণ ফাইবার আবশ্যক এর ১৪ শতাংশই মাত্র এক আউন্স আলমন্ড নিশ্চিত করতে পারে।

কোষের ঝিল্লির যত্ন-আত্তি

ভিটামিন ‘ই’ এমন এক উপাদান যা কিনা ফ্যাটে দ্রবণীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। এটি কোষের ঝিল্লির কার্যকারিতা ও সজীবতা ধরে রাখে। আমন্ড কিন্তু ভিটামিন ‘ই’ এর শ্রেষ্ঠ উৎস। উচ্চমানের ভিটামিন ‘ই’ কিন্তু হৃদস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। সেই সঙ্গে আলঝেইমার্স আর ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।

রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ

এতে খুব অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। উচ্চমানের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন আর ফাইবার আছে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এটাকে খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৩১০-৪২০ মিলিগ্রাম করে ম্যাগনেসিয়াম দরকার। মাত্র দুই আউন্স আলমন্ড আপনাকে ১৫০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহ করবে। ১৫-৩৮ শতাংশ টাইপ ২ ডায়াবেটিক রোগীর দেহে এই খনিজের ঘাটতি থাকে। কাজেই তাদের জন্য আলমন্ড অভাব পূরণের উৎস হতে পারে।

রক্তচাপ সামলে রাখা

ম্যাগনেসিয়ামের যে রক্তচাপ সামলানোর ক্ষমতা রয়েছে তা সবাই জানে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক আর কিডনি ফেইলিওরের নেপথ্যে অন্যতম ঘাতক হয়ে থাকে উচ্চ রক্তচাপ। আপনার স্থূলতার সমস্যা থাক বা না থাক, খনিজটি ছাড়া অসুস্থতা ধরবে।

কোলেস্টেরলের মাত্রায় লাগাম

ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা এলডিএল লিপোপ্রোটিনকে দূর করে আলমন্ড। হৃদরোগের পেছনে এই বিশেষ কোলেস্টেরলের দায় অনেক। এই বাদাম থেকে প্রাপ্ত ক্যালরির মাত্র ২০ শতাংশ এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা গড়ে ১২ দশমিক ৪ এমডি/ডিএল এককে কমিয়ে আনে।

ক্ষুধা মেটায়

অল্প পরিমাণ আলমন্ড খেলেই মনে হবে যেন আপনার পেট ভরে গেছে। ক্ষুধা মেটাতে ওস্তাদ এর প্রোটিন আর ফাইবার। তাই যদি আলমন্ড খান, তাহলে অন্য খাবার বেশি খেতে মন চাইবে না। ফলে পেটও বাড়তে থাকবে না অনিয়ন্ত্রিতভাবে। এদিক থেকে ওজন ধরে রাখতে এ বাদামের জুড়ি নেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.