হঠাৎ শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন জেনে রাখুন
ODD বাংলা ডেস্ক: করোনা ও হাঁপানি (Breathing Problem) রোগী ছাড়াও অনেকের শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা হতে পারে। শ্বাসকষ্ট হলে এখন অনেকেই ভয় পেয়ে বসেন। ঠান্ডা লাগা বা কাশি হলেও শ্বাসের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া ফুসফসে সংক্রমণ হলেও শ্বাসের সমস্যা হতে পারে। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কিছু কাজ আপনি বাড়িতেই নিজেই করতে পারেন। এতে শ্বাসের সমস্যায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন। আচমকা শ্বাসকষ্ট হলে কী করবেন জেনে রাখুন-
১. শ্বাসকষ্ট হলে বালিশ দিয়ে মাথার দিক উঁচু করে পাশ ফিরে শোবেন। এ সময় হাঁটু সামান্য ভাঁজ করতে হবে। এতে আরাম বোধ করবেন।
২. চেয়ারে বসে টেবিলের ওপর বালিশ রেখে তাতে মাথা নিচু করে শোবেন। এছাড়া চেয়ারে বসে সামনে ঝুঁকে কিছুক্ষণ বসতে পারেন।
৩. একইভাবে সামনে একটা চেয়ারকে সাপোর্ট হিসেবে ব্যবহার করে ঝুঁকে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন।
৪. দেওয়ালে শরীর হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে, পা দেয়াল থেকে এক ফুট দূরত্বে রেখে দাঁড়ান। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় এসব করলে অনেকটা স্বস্তি পাবেন।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের রান্না ঘরে থাকা সাধারণ কিছু খাবার চটজলদি অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট কমাতে দারুন কাজে আসে। ফলে পকেট ফাঁকা করে ডাক্তারের চেম্বারে যাওয়ার কোনও প্রয়োজনই নেই। এবার থেকে যখনই দেখবেন শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, তখনই এখানে আলেচিত খাবারগুলির কোনওটি সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নেবেন। দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে ফল মিলবে।
১. আদা: aগবেষণায় দেখা গেছে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির শরীরে থাকা বেশ কিছু উপকারি উপাদান শ্বাসনালীর প্রদাহ কমিয়ে অক্সিজেনের প্রবেশ যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শ্বাসকষ্ট কমতে শুরু করে। এক্ষেত্রে সম পরিমাণে আদার রস, বেদানার রস এবং মধু মিশিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করতে হবে। এই মিশ্রনটি দিনে ২-৩ বার খেলে দেখবেন দারুন উপকার মিলবে।
২. সরষের তেল: একেবারে ঠিক শুনেছেন! শ্বাসকষ্ট কমাতে বাস্তবিকই সরষের তেল দারুন কাজে আসে। আসলে এই তেলটি রেসপিরেটারি প্যাসেজকে খুলে দেয়। ফলে শ্বাস নিতে কোনও কষ্টই হয় না। তাই এবার থেকে অ্যাজমার অ্যাটাক হলেই অল্প করে সরষের তেল গরম করে নেবেন। তারপর সেটি অল্প ঠাণ্ডা করে বুকে-পিঠে ভাল করে মালিশ করতে থাকবেন। এমনটা করলেই ধীরে ধীরে লক্ষণ কমে যেতে শুরু করবে। সঙ্গে কমবে কষ্টও।
৩. মধু: অ্যাজমার চিকিৎসায় মধুর ব্যবহার বহু কাল ধরে হয়ে আসছে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে রয়েছে বেশ কিছু উপকারি উপাদান, যা এমন রোগের প্রকোপ কমাতে দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে মধুর গন্ধ নিলেও অনেকের উপকার হয়। আর যদি এমনটা করে ফল না মেলে। তাহলে দিনে তিনবার, এক গ্লাস করে গরম জলে এক চামচ করে মধু মিশিয়ে পান করলে দারুন উপকার মিলবে।
৪. পেঁয়াজ: এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শ্বাসনালীর প্রদাহ কমিয়ে অ্যাজমার প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে কাঁচা পেঁয়াজ খেলেই বেশি উপকার মেলে, অন্যভাবে নয় কিন্তু!
Post a Comment