চিরতরে দূর করুন আপনার পিঠের যন্ত্রণাদায়ক ব্রণ, জেনেনিন তার পদ্ধতি
ODD বাংলা ডেস্ক: ত্বকের অন্যতম বিরক্তিকর এবং যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা হলো ব্রণ। শুধু মুখেই নয়, অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে পিঠে দেখা দিতে পারে ব্রণের উপদ্রব। মুখে যদি ব্রণ বেশি হয়, তাহলে পিঠেও ব্রণ হবার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া চুলে ব্যবহার করা শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, স্প্রে বা সিরামের কারণেও পিঠে ব্রণ হতে পারে। তবে সুখবর হলো, মুখের ব্রণের মতোই পিঠের ব্রণও দূর করার উপায় রয়েছে।
দেখে নিন পিঠের ব্রণ দূর করার কিছু উপায়-
১) পিঠের ব্রণের দিকে আলাদা করে মনোযোগ দিন-
মুখের ব্রণের জন্য যেমন অনেকে ধাপে ধাপে মুখ পরিষ্কারের পদ্ধতি ব্যবহার করেন, পিঠের ব্রণের জন্যেও তেমন কাজ করতে হবে। প্রথমে স্যালিসাইলিক এসিড আছে এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন যাতে ব্রণ তৈরি করে এমন ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। এরপর মৃত ত্বক কোষ পরিষ্কারের জন্য আলফা ও বেটা হাইড্রক্সিল এসিড আছে এমন জেল ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। বেশি যন্ত্রণাদায়ক ব্রণের জন্য স্পট ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করতে পারে। সবশেষে ব্রণ দূর করার জন্য গ্লাইকলিক এসিড প্যাড দিয়ে পিঠ মুখে নিতে পারেন।
২) ব্যবহার করুন এক্সফলিয়েটিং সাবান-
ত্বকের রোমকূপ যাতে বন্ধ না হয়ে যায় তার জন্য দৈনিক স্নানের সময়ে এক্সফলিয়েটিং সাবান ব্যবহার করুন। চারকোল সোপ এক্ষেত্রে ভালো কাজ করে।
৩) স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য ব্যবহার করুন ক্লিনজার-
অনেকের ত্বক খুবই স্পর্শকাতর হয় এবং স্যালিসাইলিক এসিড বা বেনজয়িল পারক্সাইডের মতো উপকরণ সহ্য করতে পারে না। তারা ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের জন্য কোমল ক্লিনজার যাতে প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে।
৪) চুল শ্যাম্পু করার পর পিঠ ধুয়ে নিন-
চুলে ব্যবহার করা শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, তেল, হেয়ারস্প্রে এগুলো পিঠে ব্রণের জন্য দায়ী হতে পারে। এ কারণে স্নানের সময়ে আগে চুল ধুয়ে নিন। এরপর পিঠ ধুয়ে নিন। এছাড়া চুলে তেল বা অন্য কোনো প্রডাক্ট দেওয়ার সময়ে পিঠ তোয়ালে দিয়ে ঢেকে নিন।
৫) ব্যায়ামের আগে ও পরে পিঠ পরিষ্কার করুন-
অনেকেই জিমে গিয়ে বেশ কিছু সময় ব্যায়ামে ব্যয় করেন। তারা ব্যায়ামের আগে ক্লিনজিং ওয়াইপ ব্যবহার করে পিঠ মুছে নিতে পারেন যাতে ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। ব্যায়ামের পর স্যালিসাইলিক এসিডযুক্ত ওয়াইপ ব্যবহার করে ঘাম ও ময়লা মুছে নিতে পারেন যাতে ব্যাকটেরিয়া ত্বকে আক্রমন করতে না পারে।
Post a Comment