গরমে ডায়াবেটিস রোগীর যত্ন

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত শরীর চর্চা ও অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে দিন দিন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দিন দিন প্রচণ্ড গরমের সময় আসছে। আর এই প্রচণ্ড গরমে নানারকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। বিশেষ করে জল শূন্যতা থেকে শুরু করে, প্রস্রাবের প্রদাহ, ত্বকের সংক্রমণ, অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন রকম জটিলতা হতে পারে।


তাই এই সময়ে একটু বেশি সতর্ক থাকা উচিত। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। কেননা গরম বা উষ্ণ আবহাওয়া ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।


বিশেষ করে যেসব ডায়াবেটিক রোগীর কিডনিতে সমস্যা রয়েছে, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ আছে অথবা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য যাদের বেশি পরিমাণ ইনসুলিনের প্রয়োজন হয়, ডাইউরেটিকসজাতীয় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবন করেন যারা—এই গরম তাদের জোরালোভাবে আক্রান্ত করতে পারে।


উষ্ণ আবহাওয়া মানুষের কর্মশক্তি বাড়ালেও অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা সৃষ্টি করে।


গরম আবহাওয়ায় শরীরের জলবিয়োজন একটি গুরুতর সমস্যা। এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত এ সময়ে অধিক পরিমাণে তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করা এবং ঘন ঘন জলপানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া।


অতিরিক্ত গরমে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরেকটি উদ্বেগজনক দিক হলো এ সময় শরীরে ব্লাড সুগার অস্বাভাবিক পরিমাণে বাড়ে-কমে এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও হাইপারগ্লাইসেমিয়ার সম্ভাবনা থাকে।


গরম আবহাওয়ায় ডায়াবেটিসের যেসব ঝুঁকি দেখা যায়-


১. গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় শরীরে মেটাবোলিজমের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে হাইপোগ্লিসেমিয়া বাড়ারও সম্ভাবনা থাকে। তাই গরম আবহাওয়ায় ডায়বেটিস রোগিদের হাইপোগ্লিসেমিয়া বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে।


২. গরমে ঘর্মাক্ত বা ক্লান্ত হয়ে পড়লে তা এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। এটি হাইপোগ্লেসিমিয়ার লক্ষণ হতে পারে।


৩. গাড়ি চালানোর সময় নিজের বাড়তি যত্ন নিন এবং প্রতিবার দীর্ঘভ্রমণের আগে ও পরে ব্লাড সুগার পরীক্ষা করুন।


৪. প্রচণ্ড গরমে শারীরিক পরিশ্রম করলে, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঘন ঘন পরীক্ষা করা উচিত। এবং কার্বোহাইড্রেট থেকে দূরে থাকার জন্য গ্লুকোজ ট্যাবলেট জাতীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন।


৫. স্থান এবং তাপমাত্রা পরিবর্তনের সময় আপনার দেহে ইনসুলিনের মাত্রা দেখে নিন। যদি ব্লাড সুগার কম বা বেশি হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.