এনার্জি বাড়ানোর সহজ সাত উপায়

 


ODD বাংলা ডেস্ক: কর্মব্যস্ত জীবনে সারাদিন বিশ্রাম নেয়ার যথেষ্ট সময় পান না, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। এর ফলে মাঝে মাঝে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা দেয়। যা ক্লান্তিতে রুপ নেয়। ক্লান্তির কারণে অফিসে কাজের মাঝে ঝিমুনি ভাব কিংবা অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় পা যেন আর সামনের দিকে এগোতে চায় না। শরীরে এনার্জির অভাবে এমন ঘটনা তো হামেশাই দেখা যায়।

শরীরে এনার্জির মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে আমরা অনেকেই ওষুধের সাহায্য নেই। কয়েকটি স্বাভাবিক পদ্ধতিতেই শরীরে এনার্জির ঘাটতি দূর করে তা বাড়িয়ে তোলা যায়। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-  


সকালের নাস্তা বাদ দেবেন না


সকালের নাস্তা সারাদিন ধরে আপনার শরীরের এনার্জি লেভেল নির্ধারণ করে। তাই প্রাতরাশ না করলে শরীর নতুন করে শক্তি সঞ্চয় হয় না। ফলে যত সময় যায় ধীরে ধীরে আপনার শরীরের এনার্জি কমতে থাকে। সকালে তাই এমন খাবার দিয়ে ব্রেকফাস্ট করুন যাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেড আর প্রোটিন আছে।


ব্যালেনসড ডায়েট


ভালো করে সকালের নাস্তা করেছেন বলে দিনের অন্য কোনো সময়ের খাবার মিস করবেন না। প্রোটিন আর কার্বোহাইড্রেড সমৃদ্ধ খাবার ছাড়াও রোজ প্রচুর ফল খান। এছাড়াও এনার্জি বাড়ায় এমন খাবার যেমন ডিম, ওটস বা বাদাম ডায়েটে রাখুন।


ব্যায়াম


যতই সঠিক খাবার খান ঠিক মতো ব্যায়াম না করলে কোনো লাভ হবে না। সকালে জগিং হোক বা সন্ধ্যাবেলায় হাঁটা, যেকোনো ব্যায়াম শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয়।


প্রচুর পরিমাণে জল খান


মাঝে মাঝে কম জল খেলে শরীরে অনের রকম অস্বস্তি হয়। দিনে কম করে ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করুন।


অবসন্ন হবেন না


অবসন্ন থাকলে খুব তাড়াতাড়ি এনার্জির মাত্রাতেও ঘাটতি হয়। এই সময় বড় নিঃশ্বাস নিন। ভালো গান শুনুন বা ভালো কোনো সিনেমা দেখুন। কিংবা মেডিটেশনের সাহায্যে নিয়ে অবসাদ কমান।


বদভ্যাস পাল্টান


মদ বা ধূমপানের পর কিছু ক্ষণের জন্য এনার্জির মাত্রা বেড়ে গেলেও শরীরে ভীষণ ভাবে ক্ষতি করে।


প্রাণোচ্ছ্বল মানুষের সান্নিধ্যে থাকুন


দেখা গেছে নেগেটিভ ইমোশন যেমন রাগ, ঈর্ষা, বিষণ্ণতা- এই সবের মধ্যে থাকলে উদ্বেগ বেড়ে যায়। ফলে এনার্জি কমে যায়। তাই যত পারবেন হাসি খুশি মনের মানুষের মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.