প্রতিদিনের সাধারণ ঘরের কাজ থেকেই পেতে পারেন ব্যায়ামের সুফল

 


ODD বাংলা ডেস্ক: ঘরে বসেই শরীরচর্চা করছেন অনেকে। কিন্ত শরীরচর্চার জন্য আলাদা করে সময় যাঁদের কাছে নেই, তাঁরা কী করবেন? তাঁদের জানানো যাক, নৈমিত্তিক ঘরের কাজের মাধ্যমেও শরীরচর্চা করা যায় এবং ব্যায়ামের মতোই উপকারও পাওয়া যায়! দেখে নিন কী ধরনের ঘরের কাজ করলে ফিট থাকবে শরীর।


ঘর মোছাঃ ঘরের যে সব কাজে সবচেয়ে বেশি শারীরিক কসরত করতে হয়, তার একদম উপরের দিকেই রয়েছে ঘর মোছা। তবে আধুনিক মপার দিয়ে মুছলে হবে না, আগেকার দিনের মতো মেঝেতে থেবড়ে বসে মুছতে হবে। প্রথম প্রথম কষ্ট হলেও চালিয়ে যান। হাঁটু গেড়ে ঘর মোছার সময় পেট আর কোমরে চাপ পড়ে, পায়ের মাসলেরও ওয়ার্ক আউট হয়। বেশ কিছুদিন করে দেখুন, কোমর আর পেট কেমন ছিপছিপে হয়ে যায়!


ঝুল ঝাড়াঃ ঘর মোছার চেয়ে এ কাজটা অপেক্ষাকৃত সহজ, কিন্তু এতেও ক্যালরি পোড়ে বিস্তর! যাঁদের পিঠ আর ঘাড়ের দিকটা ভারী, তাঁরা ঝুল ঝাড়লে দ্রুত পিঠের মেদ কমাতে পারবেন।


আলমারি গোছানোঃ হাত উঁচু করে আলমারির উপরের তাক গোছালে বা দেওয়ালের উপরে লাগানো বইয়ের তাক পরিষ্কার করলেও পিঠের মেদ কমবে। একইভাবে নিচু হয়ে আলমারির নিচের তাক গোছালেও কোমর আর পায়ের ব্যায়াম করার মতোই ফল পাবেন।


বাসন মাজাঃ হাত আর বাহুর জন্য এর চেয়ে ভালো ব্যায়াম নেই। ঘষে ঘষে বাসন মেজে পরিষ্কার করলে হাতের পেশি সক্রিয় থাকে, ক্যালরিও পোড়ে অনেকটাই।


রান্না করাঃ এই কাজটা শুনতে অপেক্ষাকৃত কম পরিশ্রমের মনে হলেও আগুনের আঁচে রান্না করতে গিয়ে যথেষ্টই ক্যালরি পোড়ে।


কাপড় কাচাঃ অনেকেই ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে ঝটপট জামাকাপড় ধুয়ে নেন। কিন্তু হাতে কাপড় কাচার কাজটা যেমন পরিশ্রমসাধ্য, তেমনি শরীর ছিপছিপে রাখতেও সাহায্য করে। পুরো হাতের ব্যায়াম হয় কাপড় কাচলে। তেমনি বিছানার চাদরের মতো ভারী জিনিস অনেকেই পা দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করেন, ফলে পায়ের পেশিগুলো অনেক বেশি সক্রিয় থাকে।


মনে রাখুন: জিমে গিয়ে ব্যায়াম বা ফ্রি হ্যান্ডের সময় যে সব সতর্কতা মেনে চলেন, ঘরের কাজ করার সময়ও সে সব মেনে চলতে হবে। যদি কোনও কাজ করতে গিয়ে অস্বাভাবিক হাঁপিয়ে যান বা অতিরিক্ত শরীর খারাপ লাগতে থাকে, তবে সে কাজ করবেন না।


ঘরের কাজ করার অভ্যেস একেবারেই না থাকলে একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ নিয়ে ফেলবেন না। অল্প অল্প করে শরীরকে সইয়ে সইয়ে কাজ করুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.