কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং হয়েছে?
ODD বাংলা ডেস্ক: খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা এমন একটা সমস্যা যা বহু ক্ষেত্রেই আমারা এড়িয়ে যাই বা ততটাও গ্রাহ্য করি না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফুড পয়জনিংয়ের সম্পর্কে মানুষের বিশেষ ধারণা না থাকার কারণে এই অসুখে আক্রান্ত হয়ে অনেক ক্ষেত্রে বহু মানুষের প্রাণহানি পর্যন্ত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই বাসি বা থেকে যাওয়া খাবার খেয়ে কিংবা অনেকের ক্ষেত্রে এমন অনেক খাবারে ফুড পয়জনিং হতে পারে, তা তাঁর স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাঁরা জানাচ্ছেন, আমাদের প্রত্যেকেরই কোনও না কিছুতে অ্যালার্জি থাকে। কারও বেগুন খেলে অ্যালার্জি দেখা দেয় তো কারও ডিম খেলে শ্বাসকষ্ট হয়। অনেক সময় অজান্তেই আমরা সেই সমস্ত খাবার খেয়ে ফেলি। এক্ষেত্রেও বহু ক্ষেত্রে ফুড পয়জনিংয়ের সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এই অসুখের লক্ষণগুলি জেনে রাখা খুবই জরুরি। তার সঙ্গে জেনে রাখা দরকার দ্রুত কীভাবে চিকিৎসা শুরু করবেন।
ফুড পয়জনিংয়ের প্রাথমিক লক্ষণ-
১. খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে তলপেটে ব্যথা হওয়ার লক্ষণ দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
২. পেটে ব্যথার সঙ্গে ডায়রিয়া দেখা দেয়।
৩. মাথা ঘোরা এবং আচমকাই ক্লান্তিভাব দেখা দেয়।
৪. শরীর খুবই দুর্বল হয়ে যায়।
৫. বমি।
৬. হালকা জ্বরও হতে পারে।
৭. সারা শরীরে ব্যথা এবং মাথার যন্ত্রণার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।
প্রাণঘাতীও হতে পারে ফুড পয়জনিং। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন. তিন দিনের বেশি সময় ধরে যদি ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে তা চিন্তার হতে পারে। এর সঙ্গে বেশি মাত্রায় জ্বর। কথা বলা এবং শোনার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে অবস্থা হাতের বাইরে চলে গেলে। প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাতও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফুড পয়জনিং না খাদ্যে বিষক্রিয়ার সমস্যা দেখা দিলে তরলজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশি পরিমাণে জল, ওআরএস, ফলের রস খাওয়া দরকার এই সময়ে।
Post a Comment