আয়রনের ঘাটতি মেটাবে কুমড়ার বীজ
ODD বাংলা ডেস্ক: আয়রন দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেহে আয়রনের ঘাটতির কারণে অনেকেই নানা রোগে আক্রান্ত হন। ফলে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে ডাক্তারের কাছে যেতে হয়। যদিও কিছু খাবার বেশি করে খেলেই আয়রনের ঘাটতি দূর করা সম্ভব। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিষয়ক বুলেটিন হেলথ লাইনের তথ্যানুসারে, খাবার খেয়েই আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে তুলে ধরা হলো তেমন কিছু খাবারের কথা।
পালং শাক: এক কাপ রান্না করা পালংশাকে ৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। এছাড়া এতে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ই থাকে। রান্না করা পালং শাক এর পুষ্টি উপাদান খুব সহজেই শরীর শোষণ করে নিতে পারে। বাচ্চাদের জন্য এটা খুবই ভালো।
কলিজা ও ডিম: কলিজা হলো আয়রনের অন্যতম ভালো উৎস। গরু-ছাগলের কলিজাতে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থকে। এছাড়া এতে ভিটামিন, খনিজ লবন ও প্রোটিন থাকে। যারা কলিজা খেতে পছন্দ করেন না, তারা ডিম ও লাল মাংস খেতে পারেন। আধা কাপ ডিমের কুসুমে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এবং ৩ আউন্স লাল মাংসে ২-৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।
কুমড়ার বীজ: ২৮ গ্রাম কুমড়ার বীজে ২.৫ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। সুস্বাদু কুমড়ার বীজ রান্না করে, সালাদের সাথে, সিদ্ধ করে বা ভেঁজে বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। তাই কিছু কুমড়ার বীজ বাসায় রাখুন।
ডার্ক চকলেট: চকলেটপ্রেমীরা জেনে খুশি হবেন যে ডার্ক চকলেটের কিছু উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ডার্ক চকলেট আয়রনের একটি ভালো উৎস এবং এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে।
ছোলা: এক কাপ ছোলাতে ৫ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এবং এতে প্রচুর প্রোটিনও থাকে। নিরামিষ ভোজীদের জন্য ছোলা আদর্শ খাদ্য। ছোলা খুবই উপাদেয় খাবার। এটা সালাদ ও পাস্তার সাথেও ব্যবহার করা যায়।
ডাল: আয়রনের একটি ভালো উৎস হল ডাল। এক কাপ ডালে ৬ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে এবং প্রচুর ফাইবার থাকে। এতে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কম থাকে এবং রক্তের সুগার লেভেল ঠিক রাখে।
সেদ্ধ আলু: সেদ্ধ আলুতে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, প্রচুর পটাশিয়াম থাকার পাশাপাশি উচ্চমাত্রার আয়রন থাকে। খোসাসহ একটি সিদ্ধ আলুতে ৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।
Post a Comment