গেঁটে বাতের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে? সাবধান! বাড়তে পারে বিপদ
ODD বাংলা ডেস্ক: আর্থারাইটিস বা গেঁটে বাতের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। বিশেষ করে বয়স্কদের গেঁটে বাতের সমস্যা বেশি হয়। তবে চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নতির সুবাদে এখন ওষুধ বা ওষুধ ছাড়া এই রোগ সারানো সম্ভব।
গেঁটে বাত মারাত্মক আকার ধারণ করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে অনেক সময় একসঙ্গে অনেকগুলি রোগ হয়। ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, চোখ, ত্বক সহ বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
গেঁটে বাতে সাধারণত শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়, গরম হয়ে ওঠে এবং ব্যথা হয়। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না করলে এই সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা শুরু করা উচিত।
ঠিক কী কারণে গেঁটে বাত মারাত্মক আকার ধারণ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, সেটা এখনও গবেষকদের পক্ষে জানা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁদের অনুমান, কোনও ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের প্রভাবে রক্তের শ্বেত কণিকা কমে যায়। তার ফলেই নানা সমস্যা দেখা দেয়।
গেঁটে বাতের ফলে যখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তখন এই রোগ অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তখন আর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ ঠেকানো যায় না। ফলে সামান্য উপসর্গও বড় আকার ধারণ করে।
গেঁটে বাতের নানা ধরন আছে। তবে যে ধরনের বাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, সেটিই সবচেয়ে ভয়াবহ। যে কোনও বয়সেই এই রোগ হতে পারে। তবে বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি দেখা যায়।
হাত বা পায়ের একাধিক গাঁট থেকে এই রোগ শুরু হয়। সেই অংশটি গরম হয়ে ওঠে, নাড়ানো যায় না, যন্ত্রণা শুরু হয়। শরীরের অন্যান্য অংশে যাতে এই রোগ ছড়িয়ে না পড়ে, সেটি নিশ্চিত করার জন্য শুরুতেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
একবার যদি গেঁটে বাতের ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে, তাহলে নিয়মিত চিকিৎসা করিয়ে যেতে হয়। এই রোগ পুরোপুরি দূর হয় না। নিয়মিত চিকিৎসা করাতে থাকলে রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
গেঁটে বাতের উপসর্গ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া উচিত। না হলে সমস্যা বাড়তেই থাকে। যত দেরি হবে, তত শরীরের নানা অংশে রোগ ছড়িয়ে পড়বে।
গেঁটে বাতের চিকিৎসা শুরু করার পর এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আসতে কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস লেগে যেতে পারে। ওষুধের পাশাপাশি কিছু বিশেষ ধরনের ব্যয়াম করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
Post a Comment