গর্ভধারণ যখন জরায়ুর বাইরে
ODD বাংলা ডেস্ক: একজন নারীর জন্য গর্ভধারণ ভীষণ আনন্দের। কিন্তু কখনো কখনো এই গর্ভধারণই তাঁর জন্য হয়ে উঠতে পারে প্রাণসংহারের কারণ। আর সেটা হতে পারে গর্ভধারণ যখন জরায়ুর বাইরে হয়। এ ধরনের গর্ভধারণকে বলা হয় ‘এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি’।
উপসর্গ
► মাসিকের তারিখ পার হয়ে যাওয়া
► প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ আসা
► তলপেটে ব্যথা অনুভব করা
► যোনিপথে মাসিকের মতো বা পরিমাণে অল্প রক্তপাত হওয়া
► যদি এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি ফেটে যায় এবং ভেতরে রক্তক্ষরণ হতে থাকে তাহলে তীব্র পেটে ব্যথা, কাঁধে ব্যথা এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে।
► কখনো কখনো প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ আসা ছাড়া আর কোনো উপসর্গ থাকে না।
কারা ঝুঁকিপূর্ণ
► যাঁদের একবার এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি হয়, তাঁদের ১০-২০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে পরে প্রেগন্যান্সি এক্টোপিক হওয়ার।
► যাঁদের পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ (পিআইডি) থাকে।
► যাঁদের অতীতে অনিরাপদ গর্ভপাতের ইতিহাস থাকে কিংবা ফেলোপিয়ান টিউবে কোনো অপারেশন থাকে।
► যাঁরা জন্মনিরোধক হিসেবে কপার টি ব্যবহার করে থাকেন।
► যাঁরা আইভিএফ বা টেস্টটিউব বেবি চিকিৎসার সহায়তায় গর্ভধারণ করে থাকেন।
কেন এত ঝুঁকিপূর্ণ
গর্ভধারণ যখন জরায়ুর বাইরে হয়, তখন একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আর বাড়তে পারে না। একসময় তা ফেটে যায় এবং রক্তক্ষরণ হতে হতে মাতৃমৃত্যুর কারণও হতে পারে।
কিভাবে নির্ণয় করা যায়
► রোগীর অতীত ও বর্তমান বিশদ ইতিহাস
► আলট্রাসনোগ্রাফি বিশেষত ট্রান্স ভ্যাজাইনাল সনোগ্রাফি (টিভিএস)
► প্রেগন্যান্সির রক্ত পরীক্ষা বা বেটা এইচসিজি পরীক্ষাটি ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দ্বিগুণ হওয়া সন্তোষজনক। যদি ন্যূনতম ৬৬ শতাংশের বেশি না বাড়ে তাহলে এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির চিন্তা করতে হবে।
চিকিৎসা
চিকিৎসা মূলত রোগীর অবস্থা—বেটা এইচসিজি আর আলট্রাসনোগ্রাফির রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে।
► কোনো চিকিৎসা না দিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ
► Methotrexate ইনজেকশন দিতে হবে
► ল্যাপারোস্কপি বা পেট কেটে অপারেশন
চিকিৎসক নির্ধারণ করবেন কোন রোগীর জন্য কোন চিকিৎসা দিতে হবে। এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি খুব ঝুঁকিপূর্ণ একটা অবস্থা কিন্তু তাড়াতাড়ি নির্ণয় ও তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নিলে মাতৃমৃত্যুর আশঙ্কা কমে যায়।
Post a Comment