যেসব স্বাস্থ্যকর খাবার অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর

 


ODD বাংলা ডেস্ক: অনেকের ধারণা মতে স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরে কোনো ক্ষতি করে না, কিন্তু এই স্বাস্থ্যকর খাবার যখন অতিরিক্ত শরীরে যায় তখন তা ক্ষতি করে। এ কারণে দেখা যায় বিশেষজ্ঞরা শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার ই খেতে বলেন না, স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাবার খেতে বলেন। আজ আমরা এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানবো যা স্বাস্থ্যকর কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর। এগুলো হলো-


টমেটো/কমলা

অতিরিক্ত এসিডিক উপাদান শরীরে নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে


টমেটো কিংবা কমলা দুটি খাবারই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে বলে এই খাবার দুটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলোর অতিরিক্ত এসিডিক উপাদান শরীরে নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যারা কিডনি রোগে আক্রান্ত তাদের এ ধরনের রসালো ফল খাওয়া নিষেধ। এমনকি সুস্থ শরীরে দিনে দুটি টমেটো ও দুটির বেশি কমলা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়, তাই এসব খাবার খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে।


কফি

কফি পান করলে যকৃতের রোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং নিউরো ডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমে


কফি পানীয় হিসেবে অনেক স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। কফি পান করলে যকৃতের রোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং নিউরো ডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমে। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে কফি গ্রহণে ক্ষতিও হয়। কফি স্নায়ুতন্ত্রকে আচ্ছন্ন করে ফেলতে পারে এবং এর ফলে অনিদ্রা, নার্ভাসনেস, বিরক্তি, পেটব্যথা, হৃৎস্পন্দন এবং পেশি কম্পনের মতো সমস্যা হতে পারে। এ কারণে কফি স্বাস্থ্যকর হলেও অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর।


প্রাণীজ প্রোটিন

প্রাণীজ প্রোটিনও অতিরিক্ত খেলে শরীরে গ্রোথ ফ্যাক্টর ১ নামের একটি হরমোন উৎপন্ন হয়, যা দ্রুত বয়স বাড়িয়ে দেয়


শরীরের জন্য একটি জরুরি উপাদান হলো প্রোটিন। বিশেষ করে চিকেন ব্রেস্ট, ডিমের সাদা অংশ ইত্যাদি কম ফ্যাটযুক্ত প্রাণীজ প্রোটিন শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু এ ধরনের প্রাণীজ প্রোটিনও অতিরিক্ত খেলে শরীরে গ্রোথ ফ্যাক্টর ১ নামের একটি হরমোন উৎপন্ন হয়, যা দ্রুত বয়স বাড়িয়ে দেয় এবং এ অবস্থা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এসব খাবার স্বাস্থ্যকর হলেও অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।


দারুচিনি


অতিরিক্ত পরিমাণে দারুচিনি খেলে তা লিভারের সমস্যা এবং ক্যান্সারের কারণও হতে পারে


একটি ব্যাপক জনপ্রিয় মসলা হচ্ছে দারুচিনি। দারুচিনির অনেক ঔষধি গুণাগুণও রয়েছে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো প্রদাহের সঙ্গে লড়াই করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি খেলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং নিউরো ডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমে। কিন্তু দারুচিনি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে তা আবার লিভারের সমস্যা এবং ক্যান্সারের কারণও হতে পারে। তাই দারুচিনি খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে, যাতে কোনো ক্ষতি না হয়।


ওমেগা-৩


আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার হলো ওমেগা-৩ এবং মাছের তেল। কারণ এটি শরীরে গিয়ে প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে, মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে তা আমাদের রক্তকে পাতলা করে দিতে পরে, তাই এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়াই ভালো।


ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.