৩০ বছর পর শিক্ষিকাকে খুন করে ‘অপমানের বদলা’ নিল ছাত্র



ODD বাংলা ডেস্ক: কখন কোন কাজ কার মনে দাগ কেটে যায় তা কেউ বলতে পারে না। এমন কিছু বিষয় থাকে যা মাঝে মধ্যে আমাদের ভেতরে দীর্ঘদিনের জন্য থেকে যায়। যা একসময় আক্রমণাত্মকও করে তোলে। প্রতিশোধ নেয়ার মতো চিন্তাও ভেতর থেকে তৈরি হতে থাকে। অথচ যার বিরুদ্ধে এমন চেতনা তৈরি হচ্ছে সে পক্ষ এই ব্যাপারে কিছুই জানেন না।

আজকের প্রতিবেদনে এমনই একটি ঘটনা তুলে ধরা হল। যা জেনে অবাক না হয়ে উপায় নেই। 


তখন বয়স মাত্র সাত বছর। ভরা ক্লাসে সহপাঠীদের সামনে খুদেকে শাসন করেছিলেন শিক্ষিকা। কিন্তু সেদিনের ছাত্রের দাবি, তিনি নির্দোষ ছিলেন। এমনি এমনি তাকে শাস্তি দেন শিক্ষিকা।


এভাবে কেটে গিয়েছে ৩০ বছরের বেশি। কিন্তু অপমানের ‘জ্বালা’ ভোলেননি গুন্টার উভেন্টস। একদিন প্রাথমিক শিক্ষিকার বাড়িতে ঢুকে তাকে ১০১ বার ছুরির কোপ বসাননি তিনি। মৃত্যু হয় শিক্ষিকার।


দু’বছর পর আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করেন গুন্টার। তার স্বীকারোক্তি শুনে কার্যত হতবাক আইনজীবীরাও।


তদন্তকারীদের গুন্টার জানান, সে দিন ক্লাসে বিনা কারণে তাকে অপমান করেছিলেন তার শিক্ষিকা মারিয়া ভেরিল্যান্ডেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র সাত বছর। তার পর ৩০ বছর কেটে গেলেও অপমানের জ্বালা মেটেনি। প্রতিশোধ নিতেই হবে। সেই উদ্দেশ্যে ২০২০ সালে অ্যান্টওয়ার্পে ওই শিক্ষিকার বাড়ি পৌঁছে যান তিনি। তার পর ৫৯ বছর বয়সি শিক্ষিকাকে ক্ষতবিক্ষত করেন ছুরির আঘাতে।


বেলজিয়ামের সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, শিক্ষিকার শরীরে মোট ১০১ বার ছুরি কোপ বসান হত্যাকারী। কিন্তু তদন্তে নেমে অপরাধীকে শনাক্ত করতে বেগ পায় পুলিশ। শিক্ষিকার পাশেই পড়েছিল তার মানিব্যাগ। সেখানে নগদ টাকা ছিল। বাড়ির আসবাবপত্রও ছিল যথাস্থানেই। তা হলে খুনের কারণ কী?

 

ঘটনার ১৬ মাস পর ২০২০ সালের নভেম্বর এক বন্ধুর কাছে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন গুন্টার। সেই বন্ধুই পুলিশকে জানানোর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তারা। আদালত খুনের দায়ে গুন্টারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.