কোন জিনিসের গন্ধ পেলে না’রীদের বেড়ে যায় ১০০ গুন
ODD বাংলা ডেস্ক: শেখ মোস্তাক রাব্বানী ও তার স্ত্রী নয়ন তারা তৃপ্তি; দু’জনই পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)। মঙ্গলবার (৩০ জুন) প্রকাশিত ৩৮তম বিসিএসে দুইজনই বিসিএস (শিক্ষা) ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
স্বামী মোস্তাক শিক্ষা ক্যাডারে ইতিহাস বিষয়ে হয়েছেন প্রথম। আর স্ত্রী নয়ন তারা হয়েছেন অষ্টম। তারা দু’জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১০-১১ সেশনের শিক্ষার্থী।
মোস্তাকের বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলায়। আর নয়ন তারার পাবনার ভাঙুড়া উপজেলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার কর্মক্ষেত্রেও তাদের পথচলা হতে চলেছে একসঙ্গে।
নিজেদের সফলতার গল্প জানতে চাইলে শেখ মোস্তাক রাব্বানী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
তারপর আমার স্ত্রীরও বিসিএস ক্যাডার হওয়া আমার আনন্দকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তিন-চার বছর টানা পরিশ্রমের পর এমন ফলাফল পেয়ে খুব ভাল লাগছে। এমন অর্জন পরিবার ও নিজের জন্য অনেক সম্মানের।
স্বামী-স্ত্রী দুইজন সেরা দশের মধ্যে আসার পেছনের গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এই অর্জন সম্পূর্ণ আমাদের বোঝাপড়ার জন্য হয়েছে।
আমরা পড়ালেখার ক্ষেত্রে সব সময় একে অপরকে সহযোগিতা করেছি। আমরা সাংসারিক কাজেও যেমন পরস্পরকে সহযোগিতা করেছি, ঠিক তেমনি লেখাপড়ার ক্ষেত্রেও করেছি। আমরা একে অপরকে পড়া দিতাম। সেগুলো আবার ধরতামও। এর মাধ্যমে কোথায় কি ভুল হচ্ছে সেটি ধরে সংশোধন করে নিতাম।
দেশের শিক্ষায় কিছুটা হলেও অবদান রাখতে চান জানিয়ে মোস্তাক আরও বলেন, আমরা পড়ার যে কোন একটি বিষয় নিয়ে প্রথমে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতাম। কোন বিষয়ে আমার স্ত্রী না বুঝলে আমি বুঝিয়ে দিতাম। আবার আমি কোন কিছু না বুঝলে সে আমাকে বুঝিয়ে দিত।
একটা বিষয় নির্ধারণ করে সেটি শেষ করতাম। এরপর সেই বিষয়ে কে কতটুকু তথ্য পেলাম সেটি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতাম। আমরা কখনো এক বই কিনতাম না। দু’জন দুই রকমের বই কিনতাম। ফলে দুইজন নতুন নতুন তথ্য পেতাম। সেগুলো পরস্পরের সাথে শেয়ার করতাম।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে ২ হাজার ২০৪ জন প্রার্থীকে ক্যাডার পদের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া নন-ক্যাডারে আরও ৬ হাজার ১৭৩ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
Post a Comment