ধূমপান ছেড়েছিলেন যে উপায়ে কঙ্গনা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: বলিউডের বহুল চর্চিত অভিনেত্রীর তালিকায় প্রথমেই নাম আসে কঙ্গনা রানাওয়াতের। তাকে নিয়ে বিতর্ক কম হয় না। তবে জানেন কি, এই অভিনেত্রী একসময় ভয়ানক নেশার দাস হয়ে পড়েছিলেন। সেই নেশার জিনিস না পেলে রেগেও যেতেন। ছটফট করতেন।


খোলাসা করে বললে, একসময় প্রায় চেইন স্মোকার ছিলেন কঙ্গনা। সিগারেট না পেলে তিনি ছটফট করতে থাকতেন। প্রথমে যখন তিনি সিগারেট খাওয়া শুরু করেন, ভাবতেও পারেননি এরকম কিছু হতে পারে। নো স্মোকিং ডে উপলক্ষে জীবনের এই দিকটা তুলে ধরেন নায়িকা।


কঙ্গনা বলেন, আমার বয়স তখন ১৯। ‘লমহে’ ছবির শুটিং করছিলাম। আমার অভিনীত চরিত্রটি বেশ ট্রমাটাইজড ছিল। যা আমার স্নায়ুর উপরে চাপ ফেলত। আমি শট থেকে বেরিয়েই একটা সিগারেট ধরিয়ে নিতাম। তখন আমাকে অনেকেই পরামর্শ দিয়েছিল, বেঁচে থাকতে কোনো কিছুর উপর অভ্যস্ত হওয়া উচিত নয়।’


অভিনেত্রী বলেন, ‘আমিও ভাবতাম, এমন নোংরা কাজে আমি কীভাবে অভ্যস্ত হয়ে পড়লাম। মানে কাশি, বমি, মাথা ঘোরা ইত্যাদি। শুটিং শেষ করতে করতে ছয়-সাত মাস কেটে গিয়েছিল। তখনও আমি সে সব বুঝতে পারিনি। কখনও বন্ধুরা এসেছে, তাদের কাছ থেকে সিগারেট নিতাম। তারপর আস্তে আস্তে নিজের সঙ্গে সিগারেটের প্যাকেট রাখা শুরু করলাম।


কঙ্গনা জানান, দিনে তিনি ১০-১২ প্যাকেট সিগারেট খেতেন। তবে নিজের বাবা-মায়ের সামনে কখনো ধূমপান করতেন না। কিন্তু এমন নেশা হয়ে গিয়েছিল যে, সিগারেট না পেলে তার জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়তে ইচ্ছা হতো। নায়িকার মনে হত, কেউ যেন তাকে দাস বানিয়ে রেখেছে।


কঙ্গনার কথায়, ‘যোগ স্যারকে সবটা বললাম। যোগা আমাকে অনেকটা সাহায্য করেছে এই বাজে অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে। সঙ্গে নিজের উপরেও জোর দিয়েছিলেন তিনি। যাতে খারাপ অভ্যাস থেকে বের হতে পারেন। সঙ্গে খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করেছিলেন বলেও জানান কঙ্গনা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.