জেনে নিন অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি পেতে যা করণীয়
ODD বাংলা ডেস্ক: প্রচণ্ড গরমে শরীর ঘামবে— এটাই তো স্বাভাবিক। ঘাম হওয়াও শরীরের জন্য উপকারী। কারণ ঘামের সঙ্গে অতিরিক্ত টক্সিন ও অপ্রয়োজনীয় বেশ পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। অনেকের আবার অস্বাভাবিক ঘাম হয়। তাপমাত্রা যাই হোক না কেন, ঘেমে নেয়ে যান তাঁরা। অস্বাভাবিক ঘাম কখনো কখনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। ঘামের সঙ্গে সৃষ্ট উৎকট গন্ধও থাকে।
শরীরে কোনো রোগ না থাকার পরেও যদি অতিরিক্ত ঘাম হয়, তবে বুঝবেন— স্নায়ুগ্রন্থির প্রভাবে ঘর্মগ্রন্থি অতিরিক্ত সক্রিয় থাকায় এই অত্যাধিক ঘামের সৃষ্টি। এছাড়াও ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, মেনোপোজ কিংবা উদ্বেগের কারণে ঘাম বেশি হতে পারে। কিছু কাজ আপনাকে এই অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি দেবে—
মেথি ভেজানো জল
অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করতে মেথি ভেজানো জল খেতে পারেন। এক চা চামচ মেথি এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে, পরদিন সকালে উঠে সেই জল ছেঁকে খালি পেটে পান করুন। এতে অতিরিক্ত ঘামসহ আরও অনেক সমস্যা দূর হবে।
মিশ্রণ ব্যবহার
অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি পেতে সারিভা, চন্দন, আমলকির গুঁড়া এবং গোলাপ জলের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এটি ভালোভাবে গায়ে লাগিয়ে রাখুন, মিনিট বিশেক পর ধুয়ে ফেলুন।
চন্দনের ব্যবহার
চন্দন ত্বকের যত্নে অনেকভাবে উপকারি। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা কমাতেও কাজ করে চন্দন। চন্দন বেটে নিয়ে শরীরের যে স্থানে ঘাম বেশি হয়, সেখানে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টার মতো। এতে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
খাবারে যেসব পরিবর্তন আনবেন
অতিরিক্ত ঝাল এবং টক জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। এর বদলে অল্প তেল-মসলায় তৈরি খাবার খান।
খুব বেশি গরম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। স্বাভাবিক তাপমাত্রার খাবার খান।
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েকটি কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই জলটুকু খেয়ে নিন।
তেতো এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার সম্ভব হলে একটু বেশি খাবেন। এতে ঘাম কম হবে।
তবে কারোর যদি হঠাৎ করে ঘামের সমস্যা হয়, কোনো রোগের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হয় বা কারোর এই সমস্যা টানা ৬ মাস ধরে চলতে থাকলে অবশ্যই তাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Post a Comment