নিয়মিত কেন গ্রিন টি পান করলে কি হয়?
ODD বাংলা ডেস্ক: বিভিন্ন ধরনের চায়ের মধ্যে গ্রিন টি বা সবুজ চা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। যদিও অনেকেই এর তেতো স্বাদের জন্য গ্রিন টি এড়িয়ে যান। আবার অনেকেই মনে করেন শুধু ওজন কমানোর জন্যই গ্রিন টি খাওয়া প্রয়োজন। যা মোটেও সঠিক নয়।
গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, বি, বি৫, ডি, ই, সি, ই, এইচ সেলেনিয়াম, ক্রোমিয়াম, জিংক, ক্যাফেইন, মেঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এ চা নিয়মিত পান করার অভ্যাস মানবদেহের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
এটি শরীরে এনার্জি এবং স্ট্যামিনা ধরে রাখে। সবুজ চা পান আমাদের হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। দেহের জলশূন্যতা রোধ করতেও এ চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিয়মিত গ্রিন টি পানে ধমনী শিথিল হয় এবং দেহে রক্ত প্রবাহের মাত্রা ভালো থাকে। সবুজ চায়ের লিকার দাঁতের ক্ষয় রোধ এবং মাড়িকে মজবুত করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই চা অত্যন্ত উপকারী। সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকেও ত্বককে রক্ষা করতে পারে এই পানীয়।
এ ছাড়া সবুজ চা মেটাবলিজম বাড়িয়ে ফ্যাট বার্নে সহায়তা করে যা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গ্রিন টি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। কিডনি রোগের জন্যও গ্রিন টি বিশেষভাবে উপকারী। রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমাতে গ্রিন টি একটি জাদুকরি পানীয়।
গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের কোলাজানকে উদ্দীপ্ত করে যা ত্বকের টানটান ভাবকে ধরে রাখে। আর এ কারণেই গ্রিন টি বার্ধক্যের গতিকে ধীর করে এবং আয়ু বাড়ায়। এর থিয়ানিন নামের অ্যামাইনো এসিড দুশ্চিন্তা, অবসাদ ও হতাশা কমাতে পারে অনেকটাই।
নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে ত্বকের রোদে পোড়াভাব কমে, চুল ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। গ্রিন টি ন্যাচারাল টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহৃত গ্রিন টিও চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে দারুণভাবে কাজ করে।
তবে খালি পেটে আর কোনো কিছু খাওয়ার পরপরই গ্রিন টি পান করতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। গ্রিন টি পান করার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো সকালে বা বিকেলে হালকা নাশতার পর অথবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে। ভালো ফলাফলের জন্য লেবু ও মধুর সঙ্গে গ্রিন টি পান করতে পারেন।
Post a Comment