ইউক্রেন সংকটের সুযোগ নিচ্ছে মানবপাচারকারীরা

 


ODD বাংলা ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানবপাচারকারীরা। ইউক্রেনের নারী ও শিশু শরণার্থীরা তাদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। অনেকে আবার শিকার হচ্ছেন যৌন হয়রানির।


রুশ সামরিক অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিনই ইউক্রেন ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ২৫ লাখের বেশি মানুষ প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড ও রোমানিয়াসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন।


ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর নতুন সংকটে ইউরোপ। মধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ অভিমুখে অভিবাসী ঢলের মধ্যেই এবার ইউক্রেন থেকে প্রতিদিনই ইউরোপে আশ্রয় নিচ্ছেন হাজার হাজার শরণার্থী।


জাতিসংঘের তথ্য বলছে, রাশিয়ার হামলা থেকে জীবন বাঁচাতে এখন পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে ২৫ লাখের বেশি শরণার্থী ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এ অবস্থায় ইউক্রেন সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানবপাচারকারীরা।


বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আশ্রয় দেওয়ার নামে নারী ও শিশুদের বিভিন্ন দেশে পাচার করছেন তারা। অনেক নারী শরণার্থীরা ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।


এক নারী বলেন, আমরা নিরুপায় হয়ে এখানে এসেছি। কিন্তু কিছু মানুষ আমাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছেন। তারা আমাদের সাহায্যের কথা বললেও পরে ভিন্ন কিছু করছেন। অনেকে আমাদের বিনামূল্যে খাবার ওষুধ দিতে চাচ্ছেন। কিন্তু সবকিছু সঠিক নয়। কিছু মানুষ সুযোগ সন্ধানী।


তিনি জানান, তাই শরণার্থীদের বলবো সরকারি কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না। যখন কেউ কোনো বিপজ্জনক জায়গা ছেড়ে যাবে তাকে বলবো অবশ্যই যেন যাতাযাতের জন্য বাস ব্যবহার করেন। এক্ষেত্রে ঝুঁকি কম থাকে।


কেউ যদি মনে করেন সে পাচারের শিকার হচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে যেন সেখান থেকে সরে আচার চেষ্টা করেন।


শরণার্থীদের নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে পোল্যান্ডে এরমধ্যে আটক হয়েছেন বেশ কয়েকজন। শরণার্থীরা যাতে প্রতারণার শিকার না হোন সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।


ওয়ার্ল্ড ভিশনের পরিচালক অ্যান্ড্র বুজোর বলেন, শরণার্থীদের ঢল থাকলে মানবপাচারের অনেক ঝুঁকি থাকে। বিভিন্ন গ্রুপ পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে দেখে। প্রতিবছরই হাজার হাজার নারী ও শিশু পাচারের শিকার হয়। পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে সজাগ থাকতে হবে। যাতে কেউ ঝুঁকির মুখে না পড়েন।


ইউক্রেন সীমান্তে মানবপাচার বেড়ে যাওয়ায় এরইমধ্যে উদ্বেগ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন। শরণার্থীদের সুরক্ষায় সীমান্তে বিশেষ নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি মানবপাচারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.