মহিলাদের যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলি অবশ্যই করান দরকার



 ODD বাংলা ডেস্ক: শরীর সম্পূর্ণরূপে সুস্থ রয়েছে কিনা, তা জানার জন্য় নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। একজন চিকিৎসকই সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানাতে পারেন স্বাস্থ্যের কোথায় কী সমস্যা রয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, প্রতিদিন শরীরচর্চার মাধ্যমে নানা রোগ প্রতিরোধ করা যায়। তারপরও এমন অনেক সমস্যা আমাদের শরীরে দেখা দেয়, যার লক্ষণ হয়তো আপনি সঠিকভাবে বুঝতে পারছেন না। কিন্তু নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলি ধরা পড়ে। মহিলাদের বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে স্বাস্থ্যের। তার জন্য তাঁদের চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের এমন অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, যা খালি চোখে ধরা পড়ে না। অথচ পরবর্তীতে সেই সমস্যা মারাত্মক আকার নিতে পারে। তাই প্রত্যেক মহিলাদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো (Health Checkup) অবশ্যই করান দরকার, সে সম্পর্কে জানাচ্ছেন তাঁরা।


১. বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিভাগ মহিলাই হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের মতে, মা হওয়ার পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা বেশি মাত্রায় দেখা দেয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে এবং তা বৃদ্ধি পেতে থাকলে নানা প্রকার হৃদরোগ দেখা দিতে পারে। তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা খুবই জরুরি।


২. একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর মহিলাদের হাড়ের ক্ষয় হতে থাকে। এর ফলে আর্থারাইটিস এবং আরও নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। হাড় মজবুত রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন।


৩. বর্তমানে বহু মহিলা থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিলে আরও নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পুরুষের তুলনায় বিশেষ করে মহিলাদের বেশি থাইরয়েড পরীক্ষা করা প্রয়োজন।


৪. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ৪০ বছরের পর মহিলাদের স্তন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা করার কথা বলছেন তাঁরা।


৫. চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, আঠেরো বছর বয়সের পর থেকেই মহিলাদের নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা করা প্রয়োজন।


৬. কারও যদি উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা থেকে থাকে, তাহলে তার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিনা তা জানার জন্য তা পরীক্ষা করা জরুরি।


৭. বয়সের বিভিন্ন পর্যায়ে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৮ বছর বয়সের পর থেকেই প্রতি মাসে ত্বক পরীক্ষা করান প্রয়োজন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। হতে পারে ক্যানসারও। তাই ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিয়মিত নেওয়া দরকার।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.