নাইট শিফটে কাজ করে নষ্ট হচ্ছে শরীর? যেসব খাবার খাবেন
ODD বাংলা ডেস্ক: নাইট শিফটে কাজ করলে শরীরে অনেক সমস্যা হয় আমরা কম বেশি সবাই জানি। এর সঠিক সমাধানও জানা যায়নি। তবে সম্প্রতি একটি গবেষণা দাবি করছে, দিনের বেলার খাবার নাইট শিফটে কাজ করার স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমায়।
আপনি যদি নাইট শিফটে কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার শারীরিক বা মানসিক কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন? কোন পরিবর্তন যদি লক্ষ্য করে থাকেন তবে আপনি একা না, আরো অনেকে আছে আপনার সাথে।
নাইট শিফটে কাজ করলে আমাদের সার্কাডিয়ানে রিদম নষ্ট হয়ে যায় যা শরীরে প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যারা নাইট শিফটে কাজ করেন তাদের হার্টে সমস্যা, মেটাবলিজম কমে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়।
এখন কথা হলো নাইট শিফট কেনো এত যন্ত্রণাদায়ক? প্রথম কথা হলো নাইট শিফট স্বাভাবিক না। যদি আপনি দিনে ঘুমানো রাতে জেগে থাকার সঠিক অভ্যাস গড়ে তুলতে না পারেন তাহলে আপনি শারীরিক অনেক জটিলতায় ভুগতে পারেন।
সায়েন্স এডভান্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা বলছে, দিনের বেলার খাবার এ সমস্যার সমাধান তিকে পারে। একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে যে, দিনের বেলা ভালো খাওয়া-দাওয়া করলে রাতে কাজ করার বাড়তি শক্তি পাওয়া যায়। পুরোনো অনেক গবেষণা দাবি করছে, নাইট শিফটে কাজ করলে ডায়াবেটিস, হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
গবেষকদের মতামত:
দিনের বেলা ভালো খাবার আপনাকে কাজের প্রতি মনোযোগ করবে এবং খামখেয়ালী দূর করবে। দুপুরে যদি ভালো খাবার খাওয়া হয় তবে সে খাবার আপনার শরীরে শক্তি উৎপাদন করবে এবং এতে ব্লাড সুগার লেভেলও বাড়বে। এর ফলে অনেক সময় ধরে কর্মক্ষম থাকা যাবে।
দিনের খাবারে যা রাখা উচিত:
১.ফল ও সবজিতে ডায়াটারি ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দূরে করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে। সেই সাথে পুষ্টি উপাদানেও ভরপুর সবজি ও ফল।
২. দিনের বেলার খাবারে সবুজ শাক, শস্য, লেবু, ডাল রাখতে হবে।
৩ রাতের বেলা ক্যাফেইন খাওয়া যাবে না।
৪. ভারী খাবার এড়াতে এক বাটি সালাদ বা এক বাটি স্যুপ খেতে পারেন।
সবশেষে সময়ের খাবার সময়ের এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
নাইট শিফট যেভাবে শরীরে প্রভাব ফেলে:
হার্ট অ্যাটাকের সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয়:
অনিয়মিত ঘুম হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। যারা নাইট শিফট করেন তাদের বেশিরভাড় মানুষ নাইট শিফটের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এজন্য নিজের শরীরের আগে যত্ন নিতে হবে।
ডিপ্রেশন বাড়ে:
নাইট শিফটে কাজ করা ডিপ্রেশনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। সেই সাথে কথায় কথায় রেগে যাওয়া, দুঃশ্চিন্তা, বিরক্ত হওয়া, সন্দিহান হওয়ার মতো সমস্যায় ভুগতে থাকে মানুষ।
মানসিক স্বাস্থ্য:
নাইট শিফটে দীর্ঘদিন কাজ করলে মানুষের মধ্যে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
ডায়াবেটিস ও ওবেসিটি:
আপনি যদি রাতের শিফটে কাজ করেন তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়বে আর সেই সাথে রাত জাগলে বাড়তে থাকবে ওজন।
অ্যাসিডিটি:
রাতের শিফটে কাজ করলে গ্যাস্ট্রিকের, ডায়রিয়া, কোষ্ঠ্যকাঠিন্য সমস্যা তৈরি হয়।
Post a Comment