কী কী কারণে যৌনমিলনে ভয় পান মেয়েরা?

ODD বাংলা ডেস্ক: সারা দিনে নানারকম চাপ নিতে নিতে ক্লান্ত শরীর-মন মুক্তি খোঁজে বিছানায়। প্রিয় মানুষটির সান্নিধ্যে, ঘনিষ্ঠতায় মনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। চিকিৎসক ও মনোবিজ্ঞানীরাও বলেন, শারীরিক সম্পর্ক শরীর-মনের ক্লান্তি দূর করতে সক্ষম। কিন্তু যদি পরিস্থিতিটাই উলটো হয়? যদি শারীরিক সম্পর্কের কথা ভাবলেই একটা নতুন স্ট্রেস তৈরি হয় মনে? এমন অনেক মেয়ে আছেন যাঁরা রাতে বিছানায় স্বামী বা পার্টনারের সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার কথা ভেবেই টেনশনে ভুগতে থাকেন! বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, আসলে তাঁদের মাথায় এমন অনেক স্ট্রেস ফ্যাক্টর কাজ করতে থাকে যার ফলে তাঁরা আর শারীরিক ঘনিষ্ঠতা বা যৌনতার মজাটা উপভোগই করতে পারেন না। আসুন দেখে নেওয়া যাক, সেক্স নিয়ে কী কী মানসিক চাপ বা ভয় কাজ করে মেয়েদের মধ্যে!
ব্যথা হওয়ার ভয়

প্রথমবার পেনিট্রেটিভ সেক্স করলে অনেক মেয়েই ব্যথা পাওয়ার কথা বলেন। তা ছাড়া যথেষ্ট ফোরপ্লে না করলে বা যৌনমিলনেই অনীহা থাকলে ভ্যাজাইনা যথেষ্ট লুব্রিকেটেড থাকে না বলে ব্যথা লাগতে পারে। ফলে অনেক মেয়ে যৌন সম্পর্কের পরিস্থিতি তৈরি হলেই আড়ষ্ট হয়ে যান।

সমাধান: শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময় একদম তাড়াহুড়ো করবেন না। ফোরপ্লে-র উপর জোর দিন। ভ্যাজাইনা যত বেশি পিচ্ছিল থাকবে, ব্যথার অনুভূতি ততই কমে যাবে। মাথার মধ্যে কোনওরকম টেনশন বা আড়ষ্টতা না রেখে মুহূর্তগুলো উপভোগ করুন। তবে প্রতিবারই যদি যৌনমিলনের সময় তীব্র ব্যথা হয়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভ্যাজিনিসমাস নামে একধরনের সমস্যা থাকলে যৌনমিলনের সময় যোনিপথের পেশিগুলো খুব আড়ষ্ট ও শক্ত হয়ে যায় এবং তা থেকে ব্যথা হতে পারে।

শারীরিক গঠন নিয়ে সংকোচ

কাউন্সেলরেরা বলেন, বহু মেয়ে নিজেদের শারীরিক গঠন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। শরীর নিয়ে অস্বস্তি, শারীরিক সৌষ্ঠব সঙ্গীর পছন্দ হবে কিনা, তা নিয়ে তাঁদের মনে সংশয় থাকে। ফলে সেক্স নিয়ে প্রথম থেকেই একটা মানসিক বাধা তৈরি হয় এবং তার অবধারিত প্রভাব পড়ে যৌনজীবনে।
সমাধান: নিখুঁত শারীরিক গঠন বলে কিছু হয় না। প্রতিটি শারীরিক গঠন অভিনব ও নিজের মতো করে সুন্দর। তাই আপনার শরীরের গঠন কেমন, তা নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখুন।

অর্গাজ়ম না হওয়া

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে অন্তত 70 শতাংশ মেয়েরই ইন্টারকোর্সের সময় পেনিট্রেটিভ সেক্স থেকে অর্গাজ়ম হয় না। বরং ক্লিটোরিসের স্টিমুলেশনে তাঁরা অর্গাজ়মের সুখ পেতে পারেন। কাজেই পেনিট্রেশনের ফলে আপনার যদি অর্গাজ়ম না হয়, একদম দুশ্চিন্তা করবেন না।

সমাধান: অর্গাজ়মে পৌঁছোতে পারাটা নিশ্চিতভাবেই সুখের, কিন্তু না পারলেও তাতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার কোনও কারণ নেই! ক্লাইম্যাক্স ছাড়াও যৌনতার আরও নানা দিক আছে, সে সব উপভোগ করুন। অর্গাজ়ম হল কি হল না তা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে বরং কী করলে আপনার সুখানুভূতি হচ্ছে তা পার্টনারের সঙ্গে ভাগ করে নিন।

সৃজনশীলতার অভাব

বিছানায় নানাভাবে সুখ উপভোগ করা যায়। নতুন নতুন উপায় আবিষ্কার করেন দম্পতিরা, আর এইখানেই পিছিয়ে পড়েন অনেক মেয়ে। তাঁরা ভাবেন তাঁদের যথেষ্ট কল্পনাশক্তি নেই, এবং সেইজন্যই তাঁরা যৌনতা বিষয়টাকে সঙ্গীর কাছে যথেষ্ট আকর্ষণীয় করে তুলতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবেই সেক্স নিয়ে তাঁদের মনে বিরাট সংশয় কাজ করে।
সমাধান: মনের মধ্যে নিজের কল্পনাশক্তি বা ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে সংশয়ে না ভুগে বরং পার্টনারের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন। উনি কী চাইছেন, কী হলে ভালো লাগবে জানতে চান। তাতে উনিও খুশি হবেন, আপনিও কিছু আইডিয়া পেয়ে যাবেন!

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.