জেলেনস্কিকে মেরে ফেললে কি করবে ইউক্রেন?
ODD বাংলা ডেস্ক: ইউক্রেনকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অন্যথায়, রাশিয়ার লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশটিতে রুশ সেনা অভিযান চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এদিকে, রবিবার রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন দাবি করেছেন, সরকারের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার ব্যাপারে পরিকল্পনা রয়েছে ইউক্রেনীয়দের। এমনকি সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়া যদি মেরেও ফেলে, সে ক্ষেত্রেও ইউক্রেনীয়দের করণীয় সম্পর্কে পরিকল্পনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
ব্লিংকেনকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মার্গারেট ব্রেনন। মূলত তার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক অনুষ্ঠান 'ফেস দ্য নেশন'-এ প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন ও ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল তাদের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। অ্যান্টনি ব্লিংকেন আরও বলেছেন, তিনি ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে দেখা করেছেন। যদিও সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ব্যাপারে ইউক্রেনীয়দের পরিকল্পনা রয়েছে; সেটা একভাবে কিংবা অন্যভাবে।’ উল্লেখ্য, টেলিভিশন অনুষ্ঠানটির টুইটার অ্যাকাউন্টে সংক্ষিপ্ত একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এবং তার সরকারের নেতৃত্বের প্রশংসা করতে দেখা গেছে ব্লিংকেনকে। ব্লিংকেন মনে করেন, ‘দেশটির নেতারা সত্যিই সাহসী ইউক্রেনীয় জনগণের মূর্ত প্রতীক।’
উল্লেখ্য, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই দেশে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। সোমবার (গতকাল) অভিযানের দ্বাদশতম দিন ছিল। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রাশিয়ার সেনারা। এতে দেশটির বিভিন্ন নগরীতে হতাহত হয়েছে বহু সংখ্যক মানুষ। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের এই সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রীকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করার জন্য তিনি এই অভিযান চালাচ্ছেন।
Post a Comment