এই ৫ কারণে সঙ্গম উপভোগ করেন না মহিলারা, মাথায় রাখতে ভুলবেন না

ODD বাংলা ডেস্ক: তাঁর কেন ভালো লাগছে না, কী সমস্যা হচ্ছে, তা খুলে আলোচনা করা উচিৎ
1
সম্পর্কের একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক সঙ্গম। যেটা ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে সম্পর্ক অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এই সঙ্গমই আবার অসম্পূর্ণ থেকে যায় যদি সঙ্গীর ইচ্ছে না থাকে বা সঙ্গীকে সেই মেজাজে পাওয়া না যায়! মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেকটা বেশি দেখা দিতে পারে। তাই পুরুষদের তাঁর সঙ্গিনীর দিকে নজর দেওয়া উচিৎ। তাঁর কেন ভালো লাগছে না, কী সমস্যা হচ্ছে, তা খুলে আলোচনা করা উচিৎ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিলাদের নিজেদেরও এই বিষয় পদক্ষেপ করতে হবে এবং কেন সঙ্গীর সঙ্গে সেই রোম্যান্টিক মুহূর্তে আসতে পারছেন না, সেই দিকে নজর দিতে হবে। কিন্তু তার আগে জানা দরকার এই ধরনের সমস্যা সাধারণত কেন হয়ে থাকে!

2
স্ট্রেস- স্ট্রেস এমন একটা জিনিস যা আমাদের জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরাট প্রভাব ফেলে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর জন্যই সঙ্গমের সময় মেজাজ তৈরি হয় না বা যৌন কামনা তৈরি হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সঙ্গম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার অন্যতম কারণ এটা। তাই স্ট্রেস মুক্ত হওয়া প্রয়োজন। এর জন্য রোজকার জীবন থেকে একটু ব্রেক নেওয়া যেতে পারে বা নিজেরা একান্তে একটু সময় কাটানো যেতে পারে।

3
ব্যথা- সঙ্গমের সময় কোথাও ব্যথা হলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক সময়ে পেলভিক ফ্লোরের মাসল রিল্যাক্স না হলেও ব্যথা হয়। ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরনে পরিবর্তন এলেও সঙ্গমের সময়ে মহিলাদের ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এছাড়াও স্তন্যপান করালে বা মেনোপজে ঢুকলে হরমোনের পরিবর্তন হয়, ফলে সঙ্গমের সময়ে ব্যথা হতে পারে। তবে, এমন হলে, চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিৎ।

4
মানসিক সমস্যা- স্ট্রেসের মতোই অনেক সময়ে ডিপ্রেশন বা অ্যাংজাইটিও সঙ্গমে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যদি সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক না থাকে বা শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে আগে থেকে কোনও আতঙ্ক বা ট্রমা থেকে থাকে, তাহলেও সঙ্গমে সমস্যা হতে পারে।

5
যৌন কামনা কম হওয়া- অনেকেই সঙ্গমে সেভাবে আকৃষ্ট হন না বা অলস লাগে। কিন্তু কোনও ভাবে সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে গেলে সেটার আনন্দ অনুভব করতে পারেন। তাই এমন হলে, একটু সময় দিয়ে মনকে স্থির করা প্রয়োজন।

6
অর্গ্যাজমে সমস্যা- মেজাজ ঠিক না থাকায়, অলস লাগায় বা একাধিক কারণে অনেকেরই অর্গ্যাজমে সমস্যা হয়। তাই এই বিষয়টির উপরেও নজর দেওয়া উচিৎ। প্রয়োজনে কোনও সেক্স টয়ের সাহায্য নিয়েও মেজাজ তৈরি করা যেতে পারে। যদি এমনটা চলতেই থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.