কাঠের ব্যাগের যত ‍সুবিধা



 ODD বাংলা ডেস্ক: চামড়া, কাপড়, রেক্সিন ও প্লাস্টিকের ব্যাগের পর দেখা যাচ্ছে কাঠের ছোট ব্যাগ। যেমন স্টাইলিশ, তেমনি ইজি টু ক্যারি। ডিজাইনারদের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন মোনালিসা মেহরিন।


ব্যবহারভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাগ পাওয়া যায় বাজারে।


কোনোটা স্কুলের জন্য তো কোনোটা ঘুরতে যাওয়ার। অফিস ও টিফিনবক্সের জন্যও পাওয়া যায় ব্যাগ। এসব ব্যাগ যেমন জীবনকে সহজ করে, তেমনি ফ্যাশনেও যোগ করে বাড়তি মাত্রা।

কাজ ও ব্যবহারভেদে একেক পরিবেশে একক রকম ব্যাগ ব্যবহার করে ফ্যাশনপ্রেমীরা। এবার এই তালিকায় যোগ হলো বর্ণিল কাঠের ব্যাগ। দেখতে সুন্দর হওয়ায় দেশি ও পাশ্চাত্য দুই রকম সাজের সঙ্গেই দারুণ মানিয়ে যায়।


নতুনত্বে যা


কাঠের ব্যাগের আকার, নকশা ও ম্যাটেরিয়ালে দেখা যাচ্ছে হাল ফ্যাশনের ছোঁয়া। ছোট আকৃতির এসব ব্যাগ যেমন হাতে ধরে ব্যবহার করা যায়, তেমনি আবার ঝুলিয়েও ব্যবহার করা যায়। এ জন্য আলাদা ফিতা রাখা হয়েছে। দরকারভেদে এই ফিতা খুলেও রাখা যায়। এসব ব্যাগে বৈচিত্র্য যোগ করতে চুমকি, জরি, রঙিন সুতা, পুঁতি ও পাথরের মতো নানা উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো ব্যাগ যেমন পুরোটাই কাঠে তৈরি, তেমনি কোনোটিতে ব্যবহূত হয়েছে চামড়া, প্লাস্টিক, কাপড় ও রেক্সিনের মতো মিশ্রণ উপাদান। কাঠের তৈরি হলেও ব্যাগগুলোর ওজন বেশ হালকা। বহনে বাড়তি অসুবিধা হয় না। আবার জলে ভিজলেও সহজে নষ্ট হয় না। রেড বিউটি পার্লারের রূপ বিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বললেন, ‘শাড়ি ও চুড়ির সাজে এমন ব্যাগ ভালো মানায়। আবার পাশ্চাত্য পোশাকেও ব্যবহার করা যায় কাঠের বর্ণিল ব্যাগ। ’


কেমন রং


কাঠের এসব ব্যাগের রঙের ব্যবহারেও বৈচিত্র্য রয়েছে। ডিজিটাল প্রিন্ট, হাতে আঁকা নকশা, অ্যাক্রিলিক রং ব্যবহার করা হয়েছে। এসব ব্যাগ মূলত পহেলা বৈশাখ, গ্রামীণ মেলা, লোকজ উত্সবকে প্রাধান্য দিয়ে নকশা ও রং করা হয়। বাংলার হাতি, ঘোড়া, মাছ, হাতপাখা, পালকি, পাখি, ফুল, লতাপাতা, রিকশা, পটচিত্র ও প্রাচীন নানা স্থাপত্যের নকশা করা হয়ে থাকে এমন কাঠের ব্যাগে।


পছন্দের ডিজাইনে নকশা


এক বছর ধরে ব্যাগের নকশা করছেন ডিজাইনার বদরুন নাহার রক্সি। শুরুতে কাপড়, প্লাস্টিক ও চামড়ার ব্যাগ তৈরি করলেও এখন যোগ করেছেন কাঠের ব্যাগ। এসব ব্যাগে ভারতের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে নকশা করেন। তিনি বলেন, ‘আমার এখানে কেউ চাইলে নিজের পছন্দমতো ডিজাইন জমা দিয়ে ব্যাগ তৈরি করে নিতে পারবেন। তবে এ জন্য এক সপ্তাহ আগে নকশা জমা দিতে হয়। ইদানীং এসব ব্যাগের প্রতি তরুণীদের ভালো আগ্রহ। ’  


কেমন দাম


মডেল, আকার ও মানভেদে একেক ব্যাগের একেক দাম। ছোট কাঠ ও পুঁতির ব্যাগগুলো পাওয়া যাবে ৩৫০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকার মধ্যে। একটু বড় ও ভারী কাজের ব্যাগ মিলবে তিন হাজার টাকার মধ্যে।


কোথায় পাবেন


নিউ মার্কেট, গুলিস্তান, আজিজ সুপার মার্কেট, বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসে পাওয়া যায় কাঠের ব্যাগ। এ ছাড়া বিভিন্ন অনলাইন শপেও কাঠের ব্যাগ কিনতে পাওয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.