শিল্পের নামে কলঙ্ক! লক্ষাধিক বেজি হত্যা করে, তাদের লোম থেকে তৈরি হচ্ছে আঁকার তুলি, মেকআপ ব্রাশ


ODD বাংলা ডেস্ক: সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ধারণের জন্য উন্নয়নের গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষ এই পৃথিবীকে এতটাই সুস্থ ও সুন্দর করে গড়ে তুলতে চায়, যাতে করে এই পৃথিবী ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছেও একইভাবে বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। তার জন্য মানুষের পাশাপাশি এই পৃথিবীকে পশু-পাখিদেরও বাসযোগ্য করে তোলা উচিত। তবে সাম্প্রতিক কিছু অভিযানে দেখা গিয়েছে, অবলা পশুদের নিয়ে অবৈধভাবে যে ব্যবসা চলছে তাতে করে এটা স্পষ্ট যে মানুষ বন্যপ্রাণীদের প্রতি এতটুকুও যত্নশীল নন। 

সম্প্রতি অপারেশন ক্লিন আর্ট চলাকালীন ৫৪,৩৫২টি আঁকার তুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, জানা গিয়েছে ওইসব তুলিগুলি বেজির লোম থেকে তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কর্মকর্তারা ১১৩ কেজি ওজনের বেজির লোমসহ ৪৩ জনকে আটক করেছে। প্রসঙ্গত পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের সহায়তায় বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর তরফে এটি ছিল ২৮ তম অভিযান। পাশাপাশি এই দল দেশের ছয়টি রাজ্যে এই অভিযান চালিয়ে একাধিক কারখানা এবং ওস্যারহাউসে হানা দিয়েছে। 

জানা গিয়েছে এই অবৈধ বাণিজ্যের ফলে প্রতি বছর প্রায় এক লক্ষ বেজিকে হত্যা করা হয়, যাদের লোম বিক্রি করে প্রতি মাসে আয় হয় প্রায় কয়েক বিলিয়ন ডলার। আর বেজির এই লোম দিয়ে তৈরি হয় আঁকার তুলি এমনকি মেকআপ ব্রাশও। জানা গিয়েছে, প্রতি এক কেজি লোমের জন্য ৫০টি বেজিকে হত্যা করা হয়। আর এক একটি বেজির শরীর থেকে প্রায় ২০ গ্রামের মতো ভাল লোম পাওয়া যায়। 

এইভাবে ৩ বছরে প্রায় ২৯০ কেজি বেজির লোম থেকে তৈরি ১,৯৬,২৯৭টি আঁকার তুলি উদ্ধার করা হয়েছে, যা থেকে এই বিষয়টি স্পষ্ট যে কীভাবে বন্যপ্রাণীদের ওপর নৃশংস অত্যাচার বেড়ে চলেছে পাশাপাশি এই নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার কতখানি অভাব। তবে একটা বিষয় একটু ভেবে দেখবেন যে, যে শিল্পের জন্য অবলা প্রাণীদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়, সেই শিল্পের কি আদৌ কোনও মূল্য রয়েছে?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.