সাত ঘরোয়া টোটকায় নিমিষেই কমবে পায়ের দুর্গন্ধ
ODD বাংলা ডেস্ক: বাড়ছে গরম। এই গরমে সবার নাজেহাল অবস্থা। এই সময় শরীরে ঘামের সৃষ্টি হয়। সেই ঘাম থেকে শরীর ও পায়ে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। সাধারণত পায়ে ঘাম জমলে ত্বকের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। ফলে পাল্লা দিয়ে পায়ের পাতা ও আঙ্গুলের ভাঁজে বৃদ্ধি পায় বিভিন্ন ধরনের জীবাণু। এর ফলেই দুর্গন্ধ তৈরি হয় পায়ে।
এই ভাবে পায়ে দুর্গন্ধ তৈরি হওয়ার ঘটনাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘ব্রোমোডোসিস’। পায়ে ছত্রাকের সংক্রমণ হলেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা।
আত্মীয় পরিজনদের সামনে এই সমস্যা ডেকে আনতে পারে বিড়ম্বনা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সহজ কয়েকটি টোটকা মেনে চললে সহজেই মুক্তি মিলতে পারে পায়ের দুর্গন্ধের থেকে। চলুন জেনে নেয়া যাক সে ঘরোয়া টোটকাগুলো-
>> প্রতিদিন অন্তত এক বার মৃদু সাবান দিয়ে ঘষে পা সাফ করুন। সাধারণত সকাল বা সন্ধ্যার সময় পা সাফ করাই ভালো। তবে পা ধোয়ার পর ভালো করে মুছে নিতে ভুলবেন না। পা ভেজা থাকলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে।
>> পায়ের নখ বড় রাখা চলবে না। নখের ভেতরে জমে থাকা ময়লা জীবাণুর স্বর্গরাজ্য।
>> নিয়মিত পা ঘষে তুলে ফেলুন শুষ্ক ও মৃত চামড়ার টুকরো। ত্বকের এই মৃত অবশিষ্টাংশগুলো ভেজা অবস্থায় জীবাণুর বাসস্থল হয়ে ওঠে। ফলে বৃদ্ধি পায় পায়ের দুর্গন্ধ।
>> নিয়মিত বদলাতে হবে মোজা। পা ঘামলে ভিজে যায় পায়ের মোজাও। তাই দিনে এক বার অন্তত মোজা বদল করা জরুরি। যারা খেলাধুলো কিংবা শরীরচর্চা করেন তাদের প্রতি বার শরীরচর্চা করার পর মোজা বদলে ফেলা দরকার। যে মোজা আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে সেই ধরনের মোজা ব্যবহার করলে সুফল মিলতে পারে।
>> মোজার মতো নিয়মিত বদল করতে হবে জুতাও। এক দিন অন্তর অন্তর বদলে বদলে পরতে পারেন জুতা। যে জুতার শুকতলা দ্রুত শুষ্ক হয় সেই জুতাতে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ কম হয়। শুকতলা ভেজা থাকলে উল্টে জুতা থেকেই ছড়াতে পারে ব্যাক্টেরিয়া।
>> দ্রুত পায়ের দুর্গন্ধ কমাতে চাইলে ডিয়োড্রেন্ট ছড়িয়ে দিতে পারেন পায়ে। এক টুকরো তুলো ভিনেগারে ভিজিয়ে পায়ের পাতা ও আঙ্গুল মুছে নিলেও উপকার মিলতে পারে। মুখগহ্বর পরিছন্ন করার দ্রবণ কিংবা অ্যালকোহলে ভেজানো তুলো দিয়েও মুছে নিতে পারেন পা। তবে এই দ্রবণগুলো ফাটা বা ক্ষতস্থানে ব্যবহার করা যাবে না।
>> জুতা থেকে যদি গন্ধ ছড়ায়, তবে জুতা পরার ঘণ্টাখানেক আগে জুতার ভেতরে লবণ কিংবা খাওয়ার সোডা ছড়িয়ে রাখতে পারেন।
Post a Comment